রাজধানীর ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় স্পেস ইনোভেশন সামিট। বাংলাদেশে মহাকাশ বিজ্ঞানবিষয়ক শিক্ষার আগ্রহ তৈরি করতে, মহাকাশ গবেষণা যন্ত্রপাতি নিয়ে রকেট টেকনোলজির দক্ষতা বৃদ্ধি, গ্রাউন্ড ষ্টেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো স্পেস ইনোভেশন সামিট আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং নাসা সাইন্টিফিক প্রবলেম সল্ভার বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) শুরু হওয়া এই সম্মেলন শেষ হবে আগামী শনিবার। এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১,৫০০ জন। দু’দিনের আয়োজনে ১৬টি টেকনিক্যাল সেমিনার এবং হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দুইটি ওয়ার্কশপ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-এর সদস্য এবং বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-এর পরিচালক প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।
উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন আইইউবি’র ট্রেজারার খন্দকার ইফতেখার হায়দার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ‘স্পেস ইনোভেশন সামিট ২০১৯’-এর চিফ পেট্রন ও মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম ও নাসা সল্ভ বিডি’র প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “স্পেস টেকনোলোজি নিয়ে আমাদের দেশের তরুনদের আগ্রহ দেখে আমি মুগ্ধ।” তিনি আশা প্রকাশ করেন এ-ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে স্পেস বিষয়ক কাজ করার আগ্রহ তৈরি হবে যার ফলশ্রুতিতে আগামীতে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মহাকাশ-সম্পর্কিত কার্যক্রম হবে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এমন আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে নতুন এক দিগন্তে। এই অগ্রযাত্রা বেগবান রাখতে মহাকাশবিষয়ক শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে হবে সকল পর্যায়ে।” তিনি বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ মহাকাশ শিক্ষায় অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে।
আয়োজন সম্পর্কে আরিফুল হাসান অপু বলেন, “এবার আমরা প্রথমবারের চেয়েও বৃহৎ কলেবরে স্পেস ইনোভেশন সামিট করছি। এবারের সামিটে শিক্ষার্থীরা দু’দিনে ১৮টি সেমিনার ও দুইটি ওয়ার্কশপ থেকে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবে।”
দুইদিনব্যাপী সেশনগুলোর মধ্যে প্রথমদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকছে রকেট টেকনলোজি এ টু জেড এবং দুপুর তিনটা থেকে সাতটা পর্যন্ত থাকছে স্যাটেলাইট মেকিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন।
দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকছে রোবট ফর স্পেস এক্সপ্লোরেশন এবং দুপুর তিনটা থেকে সাতটা পর্যন্ত থাকছে ক্যারিয়ার অ্যাট নাসা।
সামিটে প্রথমদিনে দিনব্যাপী গ্রাউন্ড স্টেশন মেকিং উইথ স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং অ্যান্ড ইমেজ রিসিভিং নিয়ে ৩০ জনকে হাতেকলমে একটি কর্মশালা করানো হবে। দ্বিতীয় দিনেও থাকছে সিমুলেশন বেসড রকেট মেকিংয়ের উপর দিনব্যাপী হাতেকলমে কর্মশালা।
এছাড়াও আয়োজনে বিশেষ চমক হিসেবে থাকছে অ্যাপোলো-১১ চাঁদে ভ্রমণের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক ঘণ্টাব্যাপী বিশেষ আয়োজন।
এই সামিটের ভেন্যু পার্টনার ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এবং সহযোগিতায় রয়েছে স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টার বাংলাদেশ ও আইইউবি ইইই ডিপার্টমেন্ট। এছাড়া, লাইভ স্ট্রিমিং পার্টনার লাইভ টু ওয়েব।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
