loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ: সংবর্ধনায় টিম অলিক আবারো আমন্ত্রিত


নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ: সংবর্ধনায় টিম অলিক আবারো আমন্ত্রিত

সম্প্রতি এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নাসার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে টিম অলিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক ড. সোবহানা এস গুপ্তা, এমডি, পিএইচডি; ক্যালি বার্ক, অ্যারো স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার, নাসা; অ্যান্ড্রু ডেনিও, ইনফরমেশন টেকনোলজি স্পেশালিস্ট, নাসা।

এ-সময় নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ বলেন, টিম অলিক আসতে না পারায় তাঁরা খুবই ব্যথিত এবং যেহেতু টিম অলিক এ-বছর আসতে পারেনি তাই নাসা থেকে টিম অলিক-কে আগামী বছরের বিজয়ী দলগুলোর সাথে আরেকবার সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

এই অনুষ্ঠানে নিজেদের প্রকল্প ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরে টিম অলিক। এছাড়া অংশ নেয় অন্য ক্যাটাগরির বিজয়ী দল ফিলিপিন্স, কানাডা, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া ও আর্জেন্টিনা। পাশাপাশি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি’র ভিডিও স্পিচ নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, আয়োজক, বিজয়ী দল ও তাঁদের লিডদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।

ড. সোবহানা এস গুপ্তা বিস্তারিত প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখান কীভাবে সামনের দিনগুলোতে চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্টগুলো ফান্ড রেইজ ও স্কেলেবিলিটিতে কাজ করবে।

অ্যান্ড্রু ডেনিও আলোচনা করেন উইনিং টিমের সদস্যরা কীভাবে ভবিষ্যতে নাসায় চাকরি ও ইন্টার্নশিপে কাজ করতে পারে। তিনি নিজেও নাসা স্পেস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর প্রাক্তন বিজয়ী বলে উল্লেখ করেন।

ক্যালি বার্কের সাথে বাংলাদেশ দলের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কীভাবে ভবিষ্যতে রকেট লঞ্চ নিয়ে কাজ করতে পারে, নাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কীভাবে একযোগে করা যায় - তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষা-ব্যবস্থায় কীভাবে স্পেইস সায়েন্স নিয়ে কাজ করা যায় - সে-বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক করা যায় কি-না - তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারিভাবে এ-বিষয়ে আয়োজকদের প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জের আহ্বায়ক দিদারুল আলম ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল হাসান এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে কীভাবে আরও ভালো ও ফলপ্রসূ করা যায় - তা নিয়ে আলোচনা করেন।

দিদারুল আলম বলেন, বেসিস নাসা স্পেস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় গত চার বছর ধরে আয়োজন করে আসছে। দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। প্রকল্প বাছাই, ৩৬ ঘন্টার হ্যাকাথন আয়োজন, ফলাফল প্রেরণ, চূড়ান্ত পর্যায়ের বিচারপর্ব সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। নাসার সাথে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখন এই প্রতিযোগিতা ছাড়াও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পর্যায়ে নাসায় কাজ করার সুযোগ পাবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কীভাবে তরুণ উদ্ভাবক, উদ্যেক্তাদের সাহায্য করা হচ্ছে, সরকারি ও বেসরকারিভাবে কী কী প্রকল্প চলছে - তা তুলে ধরেন।

পরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...