loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশই হলো টাইগাররা


শ্রীলঙ্কায় হোয়াইটওয়াশই হলো টাইগাররা

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা: ২৯৪/৮ (৫০ ওভার) (ম্যাথিউস ৮৭, মেন্ডিস ৫৪, করুনারত্নে ৪৬, পেরেরা ৪২; শফিউল ৩/৬৮, রুবেল ১/৫৫, তাইজুল ১/৩৪, সৌম্য ৩/৫৬)
বাংলাদেশ: ১৭২ (৩৬ ওভার) (সৌম্য ৬৯, তাইজুল ৩৯*, বিজয় ১৪; রাজিথা ২/১৭, ধনঞ্জয়া ১/৪৪, শানাকা ৩/২৭, হাসারাঙ্গা ১/১৬, কুমারা ২/২৬)
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ১২২ রানে জয়ী

লঙ্কায় ভরাডুবি হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। তিন ম্যাচের সবগুলোতেই অসহায়ভাবে পরাজয় বরণ করে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশে লজ্জায় ডুবলো অন্তর্বর্তীকালীন কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। বুধবার (৩১ জুলাই) কলম্বোতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। 

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২৯৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তামিম অ্যান্ড কোং অলআউট হয়েছে মাত্র ১৭২ রানে। তখনও ইনিংসের ১৪ ওভার বাকি ছিল!

বাংলাদেশের হয়ে ৮৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। তিনি রান-খরা কাটিয়ে হাফসেঞ্চুরি করলেও বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নিষ্প্রভ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে তাইজুল ইসলামের ব্যাট থেকে। নয় নম্বরে নেমে ২৮ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া দুই অঙ্কে পৌঁছুতে পেরেছেন শুধু এনামুল হক বিজয় (১৪) ও মুশফিকুর রহিম (১০)। অন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ্যে।

শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকা ২৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।

এদিন শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। গড়ে ওঠেনি কোনো ভালো জুটি। সর্বোচ্চ জুটি ছিল মাত্র ২৬ রানের, অষ্টম উইকেটে সৌম্য ও তাইজুলের মধ্যে। অধিনায়ক তামিম (২), মোহাম্মদ মিঠুন (৪), মাহমুদউল্লাহ (৯) ও সাব্বির রহমান (৭) এদিনও ছিলেন ব্যর্থ ।

এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ১৩ রানের মাথায় আভিস্কা ফার্নান্দোকে এলবিডাব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন শফিউল ইসলাম। তাঁর সংগ্রহ ছয় রান। এরপরে করুনারত্নে ও পেরেরার ৮৩ রানের জুটি। এতে লড়াকু স্কোরের ভিত পায় লঙ্কানরা। জুটি ভাঙার পরে এই দুজনকে অবশ্য অল্প রানের ব্যবধানে ফেরাতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা।

করুনারত্নে ৪৬ রান করে তাইজুল ইসলামের শিকার হন। পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান। তাঁর উইকেটটি নেন রুবেল হোসেন। দুই ব্যাট্সম্যানই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিকের হাতে।

১০০ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার তিন উইকেট তুলে নিতে পারলেও চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস ও ম্যাথিউস। অর্ধশত রান করার পরপরই অবশ্য মেন্ডিসকে সাজঘরে ফেরান সৌম্য। সীমানার কাছে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন সাব্বির রহমান।

৪০ ওভার পর্যন্ত ওভারপ্রতি পাঁচের নিচে থাকা লঙ্কানদের রানরেট বাড়ানোর কাজটা করেন একাদশে সুযোগ পাওয়া শানাকা। উইকেটে গিয়ে ঝড় তুলে ১৪ বলে ৩০ রান করেন তিনি। এদিন লঙ্কান একাদশে সুযোগ পাওয়া আরেক ক্রিকেটার শিহান জয়সুরিয়া খেলেন সাত বলে ১৩ রানের ইনিংস। এই দু’জনকে আউট করেন শফিউল।

ইনিংসের শেষ ওভারে ম্যাথিউসকে বিদায় করেন সৌম্য। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৭ রানের ইনিংস খেলেছেন এই অভিজ্ঞ তারকা। তাঁকে আউট করার পরের বলে আকিলা ধনঞ্জয়ার উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন সৌম্য। কিন্তু তা হয়নি, বরং রান-খরুচে হয়ে যান তিনি। ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা অপরাজিত থাকেন ৫ বলে ১২ রানে।

৪০ ওভার পর্যন্ত ভালোই বোলিং করেছে টাইগাররা। তবে শেষের দিকে বোলিং-নৈপুণ্যে ভাটা পড়ে। উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকার ব্যাটে শেষ ১০ ওভারে ১০৬ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।

Loading...