একুশে পদকপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিজিয়া রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ক্যান্সার ও কিডনিজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
রিজিয়া রহমান ১৯৩৯ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ-বিভাগের পরে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন। তাঁর লেখালেখি শুরু ষাটের দশকে। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। তবে মূল পরিচিতি ঔপন্যাসিক হিসেবে। তাঁর লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে - ‘ঘর ভাঙা ঘর’, ‘উত্তর পুরুষ’, ‘রক্তের অক্ষর’ ও ‘বং থেকে বাংলা, ‘ধবল জ্যোৎস্না’, ‘সীতা পাহাড়’, ‘উৎসে ফেরা’ প্রভৃতি।
উপন্যাসে অবদানের জন্য রিজিয়া রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য পরে তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
রিজিয়া রহমানের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আজ এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, রিজিয়া রহমান ছিলেন একাধারে লেখক, গল্পকার ও ঔপন্যাসিক। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যথা - গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে ছিল তার অবাধ বিচরণ। তাঁর মৃত্যু এদেশের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য এই খ্যাতনামা ঔপন্যাসিককে এদেশের মানুষ দীর্ঘকাল মনে রাখবে।