loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

এবার আসছে সোলার ট্রেন


এবার আসছে সোলার ট্রেন

ট্রেন মানেই কু ঝিক ঝিক শব্দে ধোঁয়া উড়িয়ে রেল লাইন দিয়ে গড়গড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া। তবে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় এখন ট্রেন চালানোর জন্য কয়লার প্রয়োজন পড়ে না। ধোঁয়ার বদলে এখন চোখে পরে ইলেক্ট্রিক তারের ঝলকানি।

তবে, অস্ট্রেলিয়ার নয়া ট্রেন প্রযুক্তি সেই সমস্ত কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে। ট্রেন চালানোর জন্য প্রয়োজন নেই ইলেক্ট্রিকেরও। এমনকি কয়লারও প্রয়োজন পড়ছে না। সূর্যের আলোতেই যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছুটছে গন্তব্যস্থলে। কিন্তু কিভাবে এটি সম্ভব হচ্ছে সেটি এবার একটু খোলসা করে বলা যাক।ট্রেনের উপরেই থাকছে সোলার প্লেট। সেই সোলার প্লেটে সূর্যের আলো পড়তেই তাতে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। আর তা থেকেই এনার্জি নিয়ে ট্রেন দৌঁড়াচ্ছে গন্তব্যস্থলের দিকে। সোলার প্লেটে সূর্যরশ্মি পড়তেই ট্রেনের ভিতরে থাকা ব্যাটারিতে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে সেই শক্তিতেই চলছে ট্রেন। তবে, একটি ডিজেল ইঞ্জিন কিন্তু থাকছেই। আপদকালীন পরিস্থিতিতে কখনও প্রয়োজন পড়লে চালকরা সেই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালাতে পারবেন।

অস্ট্রেলিয়ান এক মাল্টি মিলিওনিয়ারের মাথা থেকেই এই অভিনব প্রযুক্তি তৈরির ভাবনাটি আসে। এই গোটা ভাবনাটি বাস্তবায়িত করতে খরচ পড়েছে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার। অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে পর্যটকদের নিয়ে ছুটবে এই ট্রেনটি। মাত্র ১০০জন যাত্রী এই ট্রেনে উঠতে পারবেন। অস্ট্রেলিয়ার বেইরন বে-তে এই ট্রেনটি চলবে। প্রসঙ্গত, এটিই বিশ্বের প্রথম সোলার পাওয়ার ট্রেন। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে এই ট্রেনটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার কয়লা চালিত একটি ট্রেনকে পুনর্নিমাণ করে এই ট্রেনটি তৈরি করা হয়েছে। এই ট্রেনটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বেইরন বে রেলবোর্ড কোম্পানিকে। সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট থেকে শহরের দক্ষিণ দিকের একটি জায়গা পর্যন্ত এই ট্রেনটি আপাতত চলবে।

সূত্র:  বাংলাদেশ প্রতিদিন

Loading...