loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

ওয়েল্সকে পরাজিত করে ইংল্যান্ডের শেষ ১৬’তে উত্তরণ


ওয়েল্সকে পরাজিত করে ইংল্যান্ডের শেষ ১৬’তে উত্তরণ

মার্কাস রাশফোর্ডের দুই গোল এবং ফিল ফোডেনের এক গোলে ওয়েল্সকে বিধ্বস্ত করে বি’ গ্রুপ সেরা হিসেবে শেষ ষোলোয় উত্তরণ নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড। কাতার বিশ্বকাপে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আল-রাইয়ানের আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওয়েল্সকে ৩-০ গোলে পরাজিত করেছেন গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।

এই ম্যাচে ড্র করলেও নকআউট পর্বে উঠতো ইংল্যান্ড। সেক্ষেত্রে হয়তো দ্বিতীয় দল হিসেবে যেতে হতো। অবশ্য, সেটি নির্ভর করতো গ্রুপের অপর ম্যাচের ফলাফলের উপর।

ইংল্যান্ড যদি ওয়েল্সের কাছে চার গোলে হেরে যায় এবং ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যদি একটি দল জয়লাভ করে, তাহলে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ হয়ে হবে ইংল্যান্ড – এমন এক সমীকরণ সামনে নিয়ে মঙ্গলবার লড়াইয়ে নেমেছিল প্রতিবেশী দেশ দুটি। যাহােক, কোনো সমীকরণই সেখানে কাজে আসেনি। প্রত্যাশিত জয় দিয়েই বাজিমাত করেছে ইংল্যান্ড।

দশম মিনিটে প্রথম পরিকল্পিত আক্রমণটি রচনা করে ইংল্যান্ড। এ-সময় মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে হ্যারি কেইন এগিয়ে গিয়ে দারুণ বল পাস দেন রাশফোর্ডের দিকে। রাশফোর্ড ডি বক্সের ভেতর এগিয়ে আসা ওয়েল্স গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে তড়িঘড়ি করে বলটি প্রবেশ করানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ড। তিনি ঝাঁপিয়ে পড়ে চলন্ত বলের গতি পরিবর্তন করে দেন; ফলে, নিশ্চিত একটি গোলবঞ্চিত হয় ইংল্যান্ড। এটিই ছিল প্রথমার্ধে গোলের সেরা সুযোগ।

এর আগে প্রথম দশ মিনিটে ইংল্যান্ড মাঠের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেও একবারের জন্যও জোরালো আক্রমণ রচনা করতে পারেনি। ৩০ মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়েরে মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে একেবারে ওয়েল্সের ডি-বক্সে প্রবেশ করেন। কিন্তু, সেখানে গিয়েই  বলটি উড়িয়ে মেরেছেন পোস্টের বাইরে।

৩৩ মিনিটে ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন ডান প্রান্ত দিয়ে ক্রস করলেও সেখানে সতীর্থ কেউ ছিলেন না। এর চার মিনিট পরেই রাশফোর্ড বল দেন ফোডেনকে। কিন্তু, তাঁর শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।

৩৮ মিনিটে ওয়েল্স গোলের একটি সুযোগ পেয়েছিল। ইংল্যান্ডের পোস্টের সামনে জটলা থেকে বেন ডেভিস বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। ৪৯ মিনিটে ওয়েল্সের অ্যারন রাম্সে ডি বক্সের মধ্য থেকে জোরালো শট নিলে সেটি ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। ফলে, গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দূর হয় গোল-খরা। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে ইংল্যান্ড। ৫০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে রাশফোর্ডের ফ্রি কিকের শট ওয়েল্সের রক্ষণ-দেয়ালের উপর দিয়ে বাঁক নিয়ে সরাসরি ওয়েল্সের জালে আশ্রয় নেয় (১-০)। পরের মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে হ্যারি কেইনের ক্রসের বল পোস্টের সামনে থেকে আলতো ছোঁয়ায় জালে জড়ান ফোডেন (২-০)।

পিছিয়ে পড়ে পরপর দুটি আক্রমণ রচনা করে ওয়েল্স। ৫৪ মিনিটে ড্যানিয়েল জেমস এর বাঁ প্রান্ত থেকে বাঁকানো শট ইংল্যান্ডের সাইডবারের পাশ দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে কেইফার মুরের শট ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে জালে প্রবেশের মুহূর্তে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।

এরপর ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইংল্যান্ড। ৬৮ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে কালভিন ফিলিপ্সের যোগান থেকে পাওয়া বল নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে ওয়েল্সের ডি বক্সে ঢুকে ছোট ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে অসাধারণ এক মাটি কামড়ানো শট নেন রাশফোর্ড; যেটি ওয়েল্সের গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ডের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে প্রবেশ করে (৩-০)। 

এরপর দুই পক্ষ গোলের চেষ্টা করলেও তাতে ছিল না তেমন জোর। ফলে, আর গোলও হয়নি।

এর আগে, শেষ ছয় ম্যাচের সবগুলো ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়েছিল ওয়েল্স। এরমধ্যে, পাঁচ ম্যাচে কোনো গোলই হজম করেনি থ্রি লায়ন্সরা। এরই ধারাবাহিকতা রক্ষা করলো ইংলিশরা। দুই দল এ-পর্যন্ত পরস্পরের মোকাবেলা করছে ১০৩ বার। এরমধ্যে, ইংল্যান্ড জয়লাভ করেছে ৬৮ ম্যাচে, ড্র করেছে ২১টিতে এবং পরাজিত হয়েছে ১৪ ম্যাচে।

Loading...