ফরচুন বরিশাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর চট্টগ্রাম পর্বে প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে রান-বন্যায় ভাসিয়েছে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দুই দিন আগেই বিপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩৮ রান করেছে সাকিব আল হাসানের দলটি। তার আগে, চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচে বরিশালের স্কোর ছিল ২০১, ২০২ ও ১৭৭ রান।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ম্যাচেও ব্যতিক্রম হয়নি বরিশালের বড় স্কোরের। আট ওভারের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে ১৭৩ রানে থেমেছে বরিশালের ইনিংস।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ইফতিখার আহমেদ অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৫৬ রানে। আর তিনিই হয়েছেন ম্যাচ-সেরা।
রান তাড়ায় ঢাকার ইনিংস থেমেছে চার উইকেটে ১৬০ রানে। ফলে, বরিশাল জিতেছে ১৩ রানে।
এটি সাকিবদের টানা পঞ্চম জয়।
এদিন বড় রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রান-খরায় থাকা ঢাকার দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও উসমান গনি ভালো শুরুই করেছিলেন। উসমান ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হলেও পাওয়ার প্লেতে ৪৯ রান পেয়ে যায় ঢাকা। তবে, সৌম্যর ইনিংস দীর্ঘ হয়নি। তিনি ১৫ বলে ১৬ রান করে আউট হন। এরপর ঢাকার ইনিংসটা টেনেছেন নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিঠুন। দুজন ৬০ বলে ৮৯ রান যোগ করলে ম্যাচটা শেষ ওভারে যায়।
নাসির ৩৬ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। নিয়মিত রান করছেন ঢাকার অধিনায়ক; যদিও দল পার হতে পারছে না। মিঠুন করেছেন ৩৮ বলে ৪৭ রান।
এর আগে, বরিশালের টপ অর্ডারের ব্যাটিং অবশ্য ভালো হয়নি। ৪৪ রানে তিন উইকেট হারায় দলটি। নিয়মিত উইকেট পড়লেও রানের গতি কমতে দেননি সাকিব। ক্রিজে এসেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই। একাদশ ওভারে মুক্তার আলীর অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে পয়েন্টে ঠেলে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন সাকিব; করেছেন ১৭ বলে ৩০ রান। ১৭৬ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে চারটি চার ও একটি ছক্কা ছিল।
বরিশালের ইনিংসের বাকিটা ইফতিখারময়। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৭ বলে ৮৪ রান। ইফতিখার মারেন পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কা। ৩১ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
ঢাকার হয়ে দুই উইকেট শিকার করছেন নাসির।