loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

নাসিমের বোলিংয়ে কুমিল্লার টানা চতুর্থ জয়; ঢাকার ষষ্ঠ পরাজয়


নাসিমের বোলিংয়ে কুমিল্লার টানা চতুর্থ জয়; ঢাকার ষষ্ঠ পরাজয়

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতে বাংলাদেশে আসার আগেই একটা নাটক হয়ে গিয়েছিল নাসিম শাহকে নিয়ে। শুরুতে খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলার কথা ছিল পাকিস্তানের এই পেসারের। কিন্তু খুলনা তাঁকে ছেড়ে দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-এ। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ঝলক দেখালেন নাসিম। শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চার ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে তুলে নিলেন ঢাকা ডমিনেটর্সের চার উইকেট। এবারের বিপিএল-এ এটাই এ-পর্যন্ত সেরা বোলিং।

এদিন কুমিল্লার দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসিমের তোপে ঢাকা ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি। কুমিল্লা জিতেছে ৬০ রানে।

কুমিল্লার এটি টানা চতুর্থ জয়। অন্যদিকে, খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে জিতলেও ঢাকা হারলো টানা ছয় ম্যাচে। সাত ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে। সমান-সংখ্যক ম্যাচে দুই পয়েন্ট নিয়ে একেবারে নিচে রয়েছে ঢাকা।

এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬৪ রান করে কুমিল্লা। জবাবে, নাসিমের দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। ওপেনার মিজানুর রহমান ব্যক্তিগত পাঁচ রানে বোল্ড করে শুরু। এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। মাঝে যথারীতি হতাশ করে ফেরেন সৌম্য সরকার। আবু হায়দার রনির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে খুশদিল শাহর হাতে ধরা পড়েন লংঅনে।

তবে, ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়েছিলেন উসমান গনি। ২৬ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু, চলতি আসরে দারুণ ছন্দে থাকা নাসির এদিন পারেননি পর্যাপ্ত সহায়তা করতে। ব্যক্তিগত ১৭ রানে খুশদিল শাহর বলে আউট হন নাসিম শাহর হাতে। আরিফুলকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন খুশদিল।

এরপর আবার নাসিমের নৈপুণ্য। ষোড়শ ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রথম দুই বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন মুক্তার আলী ও আমির হামজাকে। অবশ্য, পরের বলটি রুখে দিয়ে হ্যাটট্রিক হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। তবে, তিনি ফিরেছেন পরের ওভারেই। মুকিদুল ইসলামের বলে ব্যাটের কােনায় লাগলে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। অন্যদিকে, এক প্রান্ত আগলে চেষ্টা করেছিলেন উসমান। যদিও তাঁর লড়াই কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।

সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন উসমান। ৩৪ বলে দুইটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া, নাসির ১৭ ও আল-আমিন হোসেন অপরাজিত ১৪ রান করেন। কুমিল্লার পক্ষে চার ওভার বল করে মাত্র ১২ রানের খরচায় চারটি উইকেট নেন নাসিম। দুইটি উইকেট পেয়েছেন খুশদিল।

এর আগে, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় কুমিল্লা। চার রানে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান বোল্ড হয়ে যান আল-আমিনের বলে। এরপর অবশ্য ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি।

লিটন দাসের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামনে নেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। লিটনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাসির। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন আরিফুল হকের হাতে। এরপর জনসন চার্লসের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ে আমির হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান ইমরুল। পঞ্চম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন খুশদিল শাহ। জাকের আলীর সঙ্গে আবু হায়দার রনির অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রানের জুটিতে দল পায় লড়াইয়ের পুঁজি।

সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেছেন চার্লস। ২৫ বলে একটি চার ও দুইটি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ১৭ বলে দুইটি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান করেন খুশদিল। ইমরুল করেছেন ২৮ রান। শেষদিকে, ১০ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রানের ইনিংস খেলেছেন জাকের। 

ঢাকার পক্ষে ১৯ রানে দুইটি উইকেট শিকার করেন নাসির।

Loading...