loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

কিমিচের শেষ মুহূর্তের গোলে রক্ষা পেলো বায়ার্ন


কিমিচের শেষ মুহূর্তের গোলে রক্ষা পেলো বায়ার্ন

বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিচের শেষ মুহূর্তের গোলে বুন্দেসলিগা মৌসুমের দ্বিতীয় পরাজয়ের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। কিমিখের ৯০ মিনিটের গোলে ঘরের মাঠে কোলোনের সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন।

শনিবার ব্রেমেনের বিরুদ্ধে ৭-১ গোলের জয় পাওয়া কোলোন মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) তিন মিনিটে এগিয়ে গিয়ে বায়ার্নের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ডিফেন্ডার জুলিয়ান চাবট কর্নার থেকে বল পেয়ে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো এলিয়েস শাকিরির দিকে বাড়িয়ে দেন। তিউনিশিয়ান এই মিডফিল্ডার পোস্টের খুব কাছে থেকে বল জালে পাঠান। ২৯ মিনিটে কোলোন ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করেই ফেলেছিল। কিন্তু বায়ার্ন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার, শাকিরি ও ডেনিস হুসেইনবাসিচের পরপর দুই শট দুর্দান্তভাবে রুখে দিয়ে কোলোনকে ব্যবধান বাড়াতে দেননি। 

এরপর, বায়ার্নের একের এক আক্রমণ রুখে দিয়েছে কোলোন। 

২০০৯ সালের পরে প্রথমবারের মতো বায়ার্নের মাটিতে জয় তুলে নেওয়ার পথেই ছিল কোলোন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে কিমিচ তা হতে দেননি।

শেষ মিনিটে গোল হজম করাটা কিছুটা অস্বস্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন কোলোন ম্যানেজার স্টিফেন বমগার্ট। কিন্তু, একইসাথে তিনি স্বীকার করেছেন, পুরো দল যা খেলেছে – তার মধ্যে পরিপূর্ণ পারফরমেন্স ছিল।

বায়ার্ন কোচ ইউলিয়ান নাগল্সম্যান বলেছেন, দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর দল দারুণ খেলেছে। কিন্তু, ২০২৩ সালে দুই ম্যাচে দুই ড্রয়ে বায়ার্ন কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত: শেষ মুহূর্তে আমরা যথেষ্ট প্রতিরোধ গড়তে পারিনি।’

এনিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র  করলো বায়ার্ন।

দিনের আরেক ম্যাচে উল্ফসবার্গ তাঁদের সাম্প্রতিক ফর্ম ধরে রেখে হার্থা বার্লিনকে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে। এর আগের ম্যাচে ফ্রেইবার্গকে তাঁরা ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল। 

ম্যাচের চার মিনিটে সুইডিশ মিডফিল্ডার মাটিয়াস সাভানবার্গ ফ্রি-কিক থেকে সফরকারী উল্ফসবার্গকে এগিয়ে দেন। অধিনায়ক ম্যাক আর্নল্ড স্পট কিক থেকে ৩০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। তিন মিনিট পরে জোনাস উইন্ডের কার্ভিং শটে ৩-০ গোলের লিড পায় উল্ফসবার্গ। গত চারদিনে উইন্ডের এটি তৃতীয় গোল। দ্বিতীয়ার্ধে রিডল বাকু ও ওমর মারমুশ আরও দুই গোল করলে উল্ফসবার্গ-এর টানা ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত হয়।

শেষ ছয় ম্যাচে পরাজিত হয়ে তলানির থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা হার্থা শনিবার ইউনিয়ন বার্লিনের মোকাবেলা করবে। লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বায়ার্নের তুলনায় এক ম্যাচ কম খেলা ইউনিয়ন বার্লিন টেবিলের চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

এদিন অন্য ম্যাচে ১০ জনের স্টুটগাট-এর সাথে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছে হফেনহেইম। ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে আন্দ্রে ক্রামারিচের দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে হফেনহেইমের ড্র নিশ্চিত হয়। 

ক্রামারিচের গোলেই ম্যাচেই শুরুতে লিড পেয়েছিল হফেনহেইম। ৪৫ ও ৭৭ মিনিটে সেরু গুইরাসি ও ওয়াটারু এন্ডোর গোলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় স্টুটগাট। ৭৮ মিনিটে দুই হলুদকার্ডে মাঠত্যাগে বাধ্য হন ফরাসি মিডফিল্ডার নাইরু মোহাম্মদ আহামাদা। যে-কারণে বাকিটা সময় স্টুটগাটকে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে।

দিনের শুরুতে মিডফিল্ডার যানি ওল্মোর এক গোল ও তিন অ্যাসিস্টে ধুকতে থাকা শালকেকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর বি লাইপজিগ। প্রথমার্ধে দুই গোল করেছেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিল্ভা। বেঞ্জামিন হেনরিক্স ও সাবেক চেল্সি ফরোয়ার্ড টিমো ওয়ার্নার প্রথমার্ধের বাকি গোল দুটি করেছেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই শালকে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে উঠে। জাপানিজ মিডফিল্ডার কুজুকি ৫৬ মিনিটে শালকের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন। শালকের হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই প্রথম গোলের দেখা পেলেন তিনি।  এরপর ওল্মো একক প্রচেষ্টায় গোল করলে লাইপজিগ ৫-১ গোলের লিড পায়। ড্যানিশ স্ট্রাইকার ইউসুফ পোল্সেন শেষ মিনিটে আরেকবার গোল করলে মৌসুমে সবচেয়ে বড় নিশ্চিত করে লাইপজিগ।

Loading...