শ্রীলংকা ১৬ বছর পরে নারীদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ দল আট দলের এই টুর্নামেন্টের ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক শ্রীলংকার সঙ্গে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকে পেয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গী সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেপাল। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সম্প্রতি সূচি প্রকাশ করেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এ-বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বাংলাদেশে হবে। তাই এশিয়া কাপও হবে এই সংস্করণে। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
নারীদের এশিয়া কাপের নবম আসর আগামী ১৯ জুলাই পাকিস্তান-নেপাল ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে। বাংলাদেশ ২০ জুলাই নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে; সেদিন নিগার সুলতানা জ্যােতির দলের প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ – ২২ জুলাই থাইল্যান্ড ও ২৪ জুলাই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে।
আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা সরাসরি এশিয়া কাপে জায়গা পেয়েছে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল ও আরব আমিরাতকে বাছাইয়ের বাধা টপকে আসতে হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সেই বাছাইপর্বের নাম ছিল ‘এসিসি নারী প্রিমিয়ার কাপ’।
গ্রুপ পর্বে প্রতিদিনই হবে দুইটি করে ম্যাচ। সেমিফাইনাল দু’টিও একই দিনে, ২৬ জুলাই। ফাইনাল ২৮ জুলাই। সব ম্যাচ হবে ডাম্বুলার রণগিরি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
এর আগে ২০০৮ সালে নারীদের এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল শ্রীলঙ্কা।
ভারত আগের আট আসরের সাতবারই শিরোপা জিতেছে। প্রতিযোগিতটির বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তাঁরা। অন্য একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। টাইগ্রেসরা ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় হওয়া টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেষ বলে ভারতকে পরাজিত করেছিল।