তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)’র নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন। রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফে'র বার্ষিক সাধারণ সভার পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন তাবিথ। দুপুরে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হিসেবে তাবিথের নাম ঘোষণা করেন। তাবিথ এর আগে দুইবার বাফুফে সহ-সভাপতি ছিলেন। এবারের নির্বাচনে অংশ না-নেওয়া কাজী সালাহউদ্দিন ২০০৮ সাল থেকে চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতি ছিলেন। এদিন বাফুফের ২১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির আরও ১৯টি পদে ভোট হয়েছে। ইমরুল হাসান আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
সাবেক ফুটবলার ও বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)’র সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সর্বোচ্চ ১২৩ ভোট পেয়ে আগামী চার বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে তাবিথের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল সংগঠক মিজানুর রহমান চৌধুরী পেয়েছেন পাঁচ ভোট। ১৩৩ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১২৮ জন ভোট দিয়েছেন।
রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফে’র বার্ষিক সাধারণ সভার পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হন তাবিথ। দুপুর দুইটায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় সন্ধ্যা ছয়টায়। এর আধা ঘণ্টা পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বিজয়ী হিসেবে তাবিথের নাম ঘোষণা করেন।
তাবিথ এর আগে দুবা’র বাফুফে সহ-সভাপতি ছিলেন।
তাবিথের জয়ের মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের সভাপতির দায়িত্বে থাকা কাজী মো: সালাউদ্দিন যুগের অবসান হলো। সালাহউদ্দিন এবারের ভোটে অংশ নেননি। তিনি গত মাসেই নির্বাচন না-করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই কিংবদন্তি এই ফুটবলার ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এরপর ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন।
নির্বাচন থেকে সালাহউদ্দিন সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় তাবিথের নতুন সভাপতি হওয়া। তিনি ২০১২ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছিলেন। সবশেষ ২০২০ সালের নির্বাচনে একই পদে অংশ নিলেও অনেক নাটকীয়তার পর হেরে যান।