ঢাকা ক্যাপিটালস এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দেখায় ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে পরাজিত হয়েছিল। যাহােক, দলটি দ্বিতীয় দেখায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিলো, প্রতিপক্ষকে ছয় রানে হারিয়ে।
অবশ্য এদিনও পরাজয় সঙ্গী হতে যাচ্ছিল তাঁদের; তবে মুস্তাফিজুর রহমান সেটি আর হতে দেননি। শেষ ওভারে ২৩ রান প্রয়োজন ছিল সিলেটের। মুস্তাফিজুরের করা প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ম্যাচের রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেন সামিউল্লাহ শিনওয়ারি। ফিরতি বলে বাঁহাতি পেসার ওয়াইড দেন; এতে সমীকরণ দাঁড়ায় পাঁচ বলে ১৬ রানের।
শিনওয়ারি দ্বিতীয় বৈধ বলে চার মেরে সমীকরণটা আরও কমিয়ে আনেন। তৃতীয় বলে মোস্তাফিজ আবার ক্যামব্যাক করেন; তিনি শিনওয়ারিকে এক রানের বেশি নিতে দেননি। আর ফিরতি বলে সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হককে (২৯) ফুলটস দিয়ে নিজেই ক্যাচ ধরেন। পরের বলে প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউট হন শিনওয়ারিও (১২)। শেষ বলে ১১ রানের সমীকরণে চার মেরে পরাজয়ের ব্যবধান কমান রুয়েল মিয়া।
ছয় রানের এই জয়টা চলতি টুর্নামেন্টে ঢাকার মাত্র দ্বিতীয় জয়।
এদিন সিলেটের ১৯৭ রান তাড়ার শুরুটাও ভালো ছিল-না। দলটি ৩২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে। সিলেটকে জয়ের আশা দেখান রনি তালুকদার ও অ্যারন জোন্স, তৃতীয় উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে। তবে কাছাকাছি সময়ে দু’জনই বিদায় নিলে ঢাকা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। জোন্সের ৩৬ রানের বিপরীতে ৬৮ রানে আউট হন রনি। শেষে জাকের আলীর ১৩ বলে ২৮ ও আরিফুলের ১৩ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসও সিলেটের পরাজয় এড়াতে পারেনি।
এর আগে, ঢাকা লিটন কুমার দাসের ৭০ রানের সুবাদে ছয় উইকেটে ১৯৬ রানের সংগ্রহ পায়। অধিনায়ক থিসারা পেরেরার ১৭ বলে ৩৭ রানের অবদানও কম নয়। পরে বোলিংয়ে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরাও হয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই অলরাউন্ডার। ফলে, সিলেটের বিপক্ষেই আগের ম্যাচেই ৭৩ রান করা লিটন সোমবার সতীর্থদের সঙ্গে মাঠ ছাড়লেন জয় নিয়ে।