জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, তাঁর সংস্থা রোহিঙ্গা-সংকটের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। তিনি সুইটজাল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠকের পরে এই মন্তব্য করেন। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা-সংকট নিরসনে, বিশেষ করে, এ-বছরের শেষ দিকে একটি বড় বৈশ্বিক সম্মেলন আয়োজনের জন্য তাঁর সহায়তা চাইলে গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আপনার কণ্ঠস্বর আরও সোচ্চার হতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের ওপর সারাবিশ্বের মনোযোগ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতিরিক্ত প্রায় ১ লক্ষ শরণার্থীর আগমন বাংলাদেশের ওপর আরও বোঝা হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। তাঁরা আরও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’
গ্র্যান্ডি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়স্থল তৈরির জন্য উন্নত উপকরণ ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। আগে, রোহিঙ্গাদের শুধুমাত্র বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির অনুমতি দেওয়া হতো।
বৈঠকে তাঁরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মানবিক-পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। সেখানে এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সামরিকবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি রোহিঙ্গা-সংকট অবসানে উচ্চ পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছেন এবং সব দেশের সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করছেন।