বিএসএমএমইউ’র প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলামের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে শনিবার আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ-তথ্য জানানো হয়।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, বিরল মানবিক গুণের অধিকারী অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলামের চিকিৎসাবিজ্ঞান, বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও জনকল্যাণে বিশেষ করে, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলামের চিন্তা, জানা ও বোঝার ক্ষেত্রে ছিলেন সাধারণের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সবার জন্য তাঁর দুয়ার খোলা ছিল। শিক্ষক হিসেবে তিনি বায়োস্ট্যাটিসটিক্স-এর অনেক জটিল বিষয়ে অসামান্য দক্ষতার সঙ্গে অত্যন্ত সহজ করে উপস্থাপন করতে পারতেন। দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নয়নে তিনি যে-অবদান রেখে গেছেন, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা গেলে – সেটাই হবে অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলামের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম যা বিশ্বাস করতেন, কর্মেও তার প্রতিফলন করে গেছেন। আমি নিজেও তাঁর কাছ থেকে শিখেছি। বিএসএমএমইউ’র প্রতিটি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাঁর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। তাঁর সহযোগিতায় আমি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সম্পন্ন করতে পেরেছি। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও জনকল্যাণে তিনি যে-অবদান রেখে গেছেন, এর পুণ্য হিসেবে মহান আল্লাহতায়ালা তাঁকে নিশ্চয়ই জান্নাতবাসী করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, বিএসএমএমইউ’র প্রিভেনটিভ এন্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সকাল ১১টায় ইন্তেকাল করেছেন।
অধ্যাপক সৈয়দ শরিফুল ইসলাম জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি বিএসএমএমইউ ছাড়াও ইংল্যান্ডের একটি ইউনিভাসির্টিতে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন।