ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলা ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ ব্যবধানে জিতলেও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে উঠেছে।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের দ্বিতীয় লেগে অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচের প্রসঙ্গ এলে ঘুরেফিরে আসে ২০১৭ সালের বার্সেলেোনা বনাম পিএসজি’র কোয়ার্টার-ফাইনাল ম্যাচটি। সেই ম্যাচের প্রথম লেগে পিএসজি জিতেছিল ৪-০ গোলে; পরের লেগে বার্সা জিতেছিল ৬-১ গোলে। বহুল আলোচিত সেই ম্যাচে পিএসজি’র ডাগআউটে ছিলেন উনাই এমিরি, বার্সার ডাগআউটে লুইস এনরিকে। আট বছর পরে এই দুই কোচ আরেকটি কোয়ার্টার-ফাইনালে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মুখোমুখি হয়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলা ও পিএসজি’র হয়ে।
এর মধ্যে, পিএসজি গত সপ্তাহে প্যারিসে প্রথম লেগ ৩-১ ব্যবধানে জেতায় দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জটা ছিল এমিরির অ্যাস্টন ভিলার। সেই কাজটা তাঁর দল করেছেও; কিন্তু যথেষ্ট হয়নি। ভিলার চ্যালেঞ্জ দ্বিতীয় লেগের প্রথম আধঘণ্টার মধ্যে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। একাদশ মিনিটে আশরাফ হাকিমি এবং ২৭তম মিনিটে নুনো মেন্দেজ গোল করে পিএসজিকে ম্যাচে ২-০ এবং দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
এরমধ্যে হাকিমির গোলটির জন্য নিজেকেই দায়ী করার কথা আর্জেন্টাইন বিশ্বজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। তিনি বল ধরতে না-পেরে উল্টো বল তুলে দিয়েছিলেন হাকিমির কাছে, যে-সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল হয়নি।
চার গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অ্যাস্টন ভিলা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে ৩৪তম মিনিট থেকে। ইউরি টিয়েলেমান্সের শট পিএসজি ডিফেন্ডার পাচোর গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ভিলা দ্বিতীয় গোল করে ৫৫তম মিনিটে। জন ম্যাকগিন বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠান। ম্যাচের স্কোরলাইন তথন ২-২, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩।
অ্যাস্টন ভিলা এর দুই মিনিট পরেই তৃতীয় গোল পেয়ে যায়। মার্কাস রাশফোর্ডের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে গোল করেন এজরি কর্সা। ভিলা ব্যবধান মাত্র এক গোলে নামিয়ে এনে আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যাহােক, তাঁদের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান পিএসজি গোলকিপার জানলুইজি ডোনারুমা। এই ইতালিয়ান গোলকিপার টিয়েলেমান্স ও মার্কো আসেন্সিওর দুটি সম্ভাব্য গোল আটকে দেন।
যোগ করা সময়ে ভিলার ইয়ান মাটসেন গোলের সুযোগ তৈরি করেন, কিন্তু গোলমুখে থাকা পাচো সেটা আটকে দিলে হতাশায় পোড়ে ভিলা পার্ক। কোচ এমিরি তো শুয়েই পড়েন। ভিলাকে শেষ পর্যন্ত এক গোল কমের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়। মার্টিনেজও হতাশায় বেশ কিছুটা সময় মাঠেই বসেছিলেন।
টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনালে ওঠা পিএসজি শেষ চারে খেলবে আর্সেনাল ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে।