রিয়াল মাদ্রিদের বেশিরভাগ সময়ই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প রচনার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেয় নিজেদের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাবিউকে। রিয়ালের সমর্থকেরা সেই বার্নাবিউতে কিলিয়ান এমবাপে-ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের কাছ থেকে বুধবার (১৬ এপ্রিল) আরেকটি চমক দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সবসময় কী আর অবিশ্বাস্য কিছু করা সম্ভব? নিশ্চয়ই নয়। রিয়ালকে এদিন এই বাস্তবতাই মেনে নিতে হলো।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল ৩-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরে বুধবার প্রতিপক্ষের মাঠের অজানা ভীতি কাটিয়ে ফিরতি লেগে জিতেছে ২-১ গোলে। ফলে, লন্ডনের ক্লাবটি দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলো। আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়ালকে থেমে যেতে হলো শেষ আটেই।
রেকর্ড ১৫বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হয়েছিল ২০২০ সালে। অন্যদিকে, আর্সেনাল সেমিফাইনালে উঠলো ১৬ বছর পরে। ‘দি গানার্স’ সেমিফাইনালে খেলবে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)’র বিপক্ষে।
প্রথম লেগে তিন গোলে পিছিয়ে থাকা রিয়াল এদিন প্রথমার্ধে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি। ফলে কার্লো আনচেলত্তির দলের ওপর গোল করার চাপ আরও চেপে বসে। আনচেলত্তি ৬১ মিনিটে তিনজন বদলি নামান; তবে তাতেও কাজ হয়নি। বরং ৬৫ মিনিটে আর্সেনাল গোল করে বসে। বুকায়ো সাকা দুর্দান্ত ফুটবলশৈলীতে গোলরক্ষক কোর্টোয়াকে ফাঁকি দিয়ে প্রথমার্ধে পেনাল্টি মিসের প্রায়শ্চিত্ত করেন। দুই লেগ মিলিয়ে রিয়াল তখন ৪-০ গোলে পিছিয়ে।
অবশ্য ভিনিসিয়ুস এর দুই মিনিটের মধ্যে এক গোল শোধ দিয়ে প্রায় নিভে যাওয়া আশার প্রদীপে একটু বাতাস দেন।
চার গােলের বিপরীতে মাত্র এক গোল শোধ দিয়ে বাধ্য হয়ে রিয়ালের প্রায় সবাইকে ওপরে উঠে খেলতে হচ্ছিল। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছেন। আর্সেনালের এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার কোর্টোয়াকে একা পেয়ে রিয়ালের জাল কাঁপাতে ভুল করেননি মোটেই; যদিও দুই লেগ মিলিয়ে আর্সেনালের জয় তার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।