সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৯৭/৯ (গুনাথিলাকা ১৩৩, দাসুন ৪৩; আমির ৩/৫০)
পাকিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ২৯৯/৫ (ফখর ৭৬, আবিদ ৭৪ ; প্রদীপ ২/৩৭)
ফলাফল: পাকিস্তান পাঁচ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে জয়ী
দেশের মাটিতে একদিনের ক্রিকেট সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। করাচিতে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বুধবার (২ অক্টোবর) শ্রীলঙ্কাকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে তাঁরা। দু’দলের মধ্যকার প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
দানুশকা গুনাথিলাকার দারুণ শতরান ও দাসুন শানাকার ব্যাটিং-ঝড়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। তবে রান তাড়ায় পাকিস্তানের ওপেনাররা দারুণ শুরু করেন। তাঁদের মিড্ল অর্ডারেও এসেছে ভালো রান। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও তাই সরফরাজ আহমেদবাহিনী জিতেছে অনায়াসেই।
২৯৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফখর জামান ও আবিদ আলির সূচনা জুটিতেই শতরান পেরিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। আগ্রাসী ভাব নিয়ে ৭৪ স্কোর করা আবিদকে দলীয় ১২৩ রানে তুলে নেন ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গা। তুলনামূলক ধীরলয়ে খেলে ফখর ফিরেছেন ৭৬ রান করে।
ওয়ান ডাউনে নেমে ২৬ বলে ৩১ করে ফেরেন বাবর আজম। রান রেটের চাপ বেশি না থাকায় সরফরাজ ও হারিস সোহেল দলকে নিয়ে যান জয়ের আরও কাছে। ৫৬ করে থামেন হারিস। তাঁর আগে ২৩ করে বিদায় নেন সরফরাজ।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নে। শুরুটা ভালো হয়নি তাঁদের। তৃতীয় ওভারেই আবিশ্কা ফার্নেন্দোকে তুলে নেন মোহাম্মদ আমির। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে গুনাথিলাকাকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলেছেন দলপতি। ৮৮ রানের জুটির পরে থিতু হওয়া থিরিমান্নে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। সেট হয়ে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা, মিনুদ বানুকাও। আগের ম্যাচে রান পাওয়া শেহান জয়াসুরিয়া ক্রিজে এসেই ফিরে গেছেন।
এক পর্যায়ে দলকে একাই টানছিলেন গুনাথিলাকা। ১৩৪ বলে ১৩৩ করে আমিরের বলে বোল্ড হয়ে থেমেছে তাঁর লড়াই। শেষ দিকে অবশ্য পুষিয়ে দিয়েছেন দাসুন শানাকা। ২৪ বলে ৪৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে দলের রান নিয়ে গেছেন তিনশোর একেবারে কাছে।
যাহােক, শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং-উপযুক্ত করাচির উইকেটে পাকিস্তানকে ধরে রাখার দক্ষতা দেখাতে পারেননি লঙ্কান বোলাররা।