loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর পুরস্কার বিতরণ


নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর পুরস্কার বিতরণ

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফ্টঅয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর উদ্যোগে ও বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম-এর সহযোগিতায় টানা পঞ্চমবারের মতো আয়োজিত নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ ২০১৯ জমকালো এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হলো। এবার নয়টি শহর থেকে চার হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। সেখান থেকে শীর্ষ ৪৫টি প্রকল্পকে নিয়ে ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-তে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুইদিনব্যাপী হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়।

৩৬ ঘন্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর ২০ অক্টোবর (রোববার) রাতে আইডিইবি-এর মুক্তিযোদ্ধা হলে জমকালো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হলো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদুল হক। অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. হাসান জামিল, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড কম্পিউটার সিস্টেম্স, ইউনিভার্সিটি অফ আইডাহো।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিস-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ ২০১৯-এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক দিদারুল আলম । উপস্থিত ছিলেন নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ ২০১৯-এর সহযোগী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর পৃষ্ঠপোষক ই-ভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল, নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ, উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক আবদুল হাই, পিএএ এবং নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর ইন্টারনেট পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফারহাদ আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্যে নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ -এর আহ্বায়ক দিদারুল আলম বলেন, “এবার চার হাজারেরও বেশি প্রতিযোগীর মধ্য থেকে বাছাই করে সেরা ৪৫টি প্রকল্প আমরা নাসার জন্যে মনোনীত করেছি। সেরা প্রকল্পগুলো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে। গত বছর বেস্ট ইউজ অফ ডেটা ক্যাটাগরিতে শীর্ষ চারে স্থান করে নেওয়া ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের দলকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় সিলেট থেকে বিজয়ী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া দল ‘টিম অলিক’। এ-বছর নাসার আমন্ত্রণে টিম অলিক গ্লোবাল চ্যাম্পিয়নদের জন্য আয়োজিত সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। এবার আরও ভালো কিছু করার আশা করছি আমরা।”

বেসিস-এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, “টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এজুকেটর, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই হলো এর মূল লক্ষ্য।”

নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান বলেন, মহাকাশের বাইরে জলবায়ু, চাঁদ, অন্যান্য গ্রহ নক্ষত্রসহ পাঁচটি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২১ টি সাব-ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাটাগরিভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত পাঁচ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো। আশা করছি ২০১৯-এ আমাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।”

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব পরিমন্ডলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং তরুণদের সক্ষমতা তুলে ধরতে এ-নিয়ে বেসিস পাঁচবার নাসার সাথে নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর আয়োজন করলো। গত বছর আমরা একটি ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এবার পরিধি আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ আরও ভালো করবে এটাই আমার বিশ্বাস।”

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেইস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন - নাসা বিশ্বের ২৭৩টি শহরে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যেখানে বেসিস বাংলাদেশের নয়টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা) এই আয়োজন করেছে। এবার এক কোটি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি দুই লাখ শিক্ষার্থীদের সরাসরি এই প্রতিযোগিতায় রাখার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।

নাসা স্পেইস অ্যাপ্স চ্যালেঞ্জ-এর পার্টনার হিসেবে রয়েছে - তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিভাগের অধীনস্থ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্প, ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল গোল্ড স্পন্সর ই-ভ্যালি এবং ইন্টারনেট পার্টনার আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড।

Loading...