loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী


সন্ত্রাস, দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী

যুবকদের বিশেষ করে নেতা-কর্মীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, অনিয়মকারীদের ছাড় হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিন-রাত দেশের মানুষের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি। চলার পথে কেউ যদি বিপথে যায় এবং সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতিতে জড়ায়, সে যে-ই হোক - আমি তাঁদের ছাড়ব না। তাঁদের প্রতি আমার কোনো সহানুভূতি থাকবে না।’

শেখ হাসিনা শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে এ-কথা বলেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশ জাতির পিতা শুধু স্বাধীন করেই যান নাই। এর আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি বুকের রক্তও দিয়ে গেছেন। সে-কথা সবাইকে স্মরণ রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “এই দেশ কখনো ব্যর্থ হতে পারে না, এদেশকে আমরা সফল করে তুলেছি এবং সেই সফলতার পতাকা নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব এবং একদিন স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে যে-মর্যাদা পেয়েছিল সেই মর্যাদা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং জাতির পিতার স্বপ্ন আমরা পূরণ করবো।”

এদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে - সেজন্য তাঁর সরকার শতবর্ষ মেয়াদি ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। আদর্শের মধ্যদিয়েই একটি সংগঠন যেমন গড়ে ওঠে তেমনি দেশকেও কিছু দেওয়া যায়। সেই কথাটাই সবসময় মাথায় রাখতে হবে।”

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশিদ এবং সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন শোক প্রস্তাব পাঠ করেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ অগাস্টের সকল শহিদ, ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলাসহ সকল গণআন্দোলনের শহিদ এবং ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস থেকে এ-পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শাহাদৎবরণকারী নেতা-কর্মীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সারাদেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা থেকে ২৮ হাজারেরও বেশি কাউন্সিলর যুবলীগের এই ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। বিকালে তাঁরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতা নির্বাচন করেন। সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

আওয়ামী যুবলীগ বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন - যা ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর জাতির পিতার নির্দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৭৫ এর ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হত্যাকান্ডের শিকার বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে দৈনিক ‘বাংলার বাণী’র সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই যুবলীগ সংগঠনের যেন কোনোরকম বদনাম না হয়। তাঁরা যেন সম্মান নিয়ে চলতে পারে এবং আদর্শ নিয়ে চলে দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই সংগঠনটাকে গড়ে তুলতে হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “একটা কথা মনে রাখতে হবে যে - এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে। কোনো উড়ে এসে জুড়ে বসা এবং ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগীদের মাধ্যমে এই সংগঠন গড়ে উঠেনি।”

তিনি বলেন, “এই সংগঠন গড়ে উঠেছে নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করবার লক্ষ্য নিয়ে। সেই সাথে সাথে আওয়ামী লীগের প্রতিটি সহযোগী সংগঠনও এ-দেশের মানুষের কল্যাণ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই গড়ে তোলা হয়েছে।”

“সেই আদর্শ থেকে কখনও যদি কেউ বিচ্যুত হয়ে যায় তাহলে সেদেশকে কিছু দিতে পারে না। ’৭৫ এর ১৫ অগাস্টের পর ক্ষমতা দখলকারীরাও মানুষের কল্যাণে কিছু করতে পারে নি। তাঁরা নিজস্ব বিত্তবৈভব অর্জনে ব্যস্ত থেকেছে”, বলেছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা এদেশকে স্বাধীন করে গেছেন, কাজেই কারও কাছে হাত পেতে চলবো না, মাথা উঁচু করে চলবো। কারও কাছে ধার করে ঘি খাবো না, নিজেদের নূন ভাত খাবো - তা-ও ভালো। কিন্তু নিজেদের অর্থায়নে নিজেরা চলবো, মর্যাদা নিয়ে চলবো।”

ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার উর্ধ্বে উঠে দেশের কল্যাণে কতটুকু কাজ করতে পারলাম সেই মনোভাব নিয়েই সকলকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে আমরা যদি সংগঠন গড়তে পারি - তাহলে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেভাবেই এগিয়ে যাবে।”

আর যেন কেউ বাংলাদেশের মানুষের ওপর শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতন করতে না পারে। তৃণমূল পর্যায় থেকে যেন মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়, সেই জন্য একেবারে গ্রামের মাঠ পর্যায় থেকে তাঁর সরকার সকল আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কাজ করে অনেকে টাকা বানাতে পারে। এই টাকা দিয়ে হয়তো জৌলুস করতে পারে, চাকচিক্য বাড়াতে পারে, আন্তর্জাতিক বড় বড় ব্র্যান্ডের জিনিষ পরতে পারে, কিন্তু তাতে সম্মান পাওয়া যায় না।”

তিনি বলেন, “এতে হয়তো নিজের ভোগের ভেতর দিয়ে একটা আত্মতুষ্টি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দেশের মানুষের কাছে মর্যাদা পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।”

দেশ গড়ার জন্য যুব সমাজের মেধা ও মননকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীমূলক লেখা ‘কারাগারের রোজ নামচা’ এবং ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ মনোযোগ দিয়ে পাঠ করে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে ওঠে কীভাবে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা যায়, তা থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে কি করতে পারলাম - সেই চিন্তা যাঁদের মাথায় থাকে তাঁরা রাজনীতিতে সফল হতে পারেন।”

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুব সমাজকে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত করার প্রচেষ্টা নিয়ে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের যুবশক্তিই পারে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে দিতে। সে জন্য যুব সমাজের প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমরা করে দিচ্ছি।”

প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথে শহিদ নূর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহ এবং শুক্রাবাদের মিলনের কথা স্মরণ করে বলেন, “প্রত্যেকটি আন্দোলন-সংগ্রামে আমি দেখেছি যুবলীগ অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। আবার মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই যুবকরাই জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে অস্ত্র তুলে নিয়ে নিজের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে এ- দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “কাজেই সেই যুবসমাজকে আমরা চাই একটা আদর্শ হিসেবে। নিজেদের তাঁরা গড়ে তুলবে।”

প্রধানমন্ত্রী এ-সময় বিগত প্রায় ১০ বছরে বাংলাদেশে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “আমাদের উপরে অনেকে বদনাম দিতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি, কারণ সততার শক্তি হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা।”

তিনি এ-সময় নাম উল্লেখ না করে ড. ইউনুস এবং সংশ্লিষ্টদের পদ্মা সেতুর বিদেশি সাহায্য বন্ধের চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের দেশেরই কিছু স্বনামধন্য লোক - যাঁদের একসময় ব্যবসা দিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠতে আমিই সাহায্য করেছি। তাঁরা সে-সময় আন্তর্জাতিক সম্মাননা নিয়ে আসলো, অথচ দেখা গেল, বয়স হয়েছে কিন্তু একটা ব্যাংকের এমডি’র পদ ছাড়তে পারে না।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “এদিকে নোবেল প্রাইজ পায়, কিন্তু একটি ব্যাংকের এমডি’র পদ ছাড়ে না।”

তিনি বলেন, “সেই পদ কেন বয়সের কারণে ছাড়তে হলো সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পদ্মা সেতু বন্ধে আমেরিকা গিয়ে ধর্না দিলো এবং তাঁরা আমাদের ওপর দোষ দিলো দুর্নীতির।”

প্রধানমন্ত্রী সে-সময় চ্যালেঞ্জ নিলে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দুর্নীতি প্রমাণে ব্যর্থ হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাঁরা যখন দুর্নীতি খুঁজতে গেছে তখন খালেদা জিয়া তারেক রহমান এবং কোকো’র দুর্নীতিই বেরিয়েছে, আরও অনেকেরটা বেরিয়েছে। কিন্তু তাঁরা আমাদের কোনো দুর্নীতি পায়নি। বরং আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে যাচ্ছি।”

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারাগারে থাকার ঘটনার সাদৃশ্য খুঁজে বেড়ানো বিএনপি নেতৃবৃন্দের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যিনি বিএনপি নেত্রী, যিনি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেন, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে। তাঁর তুলনা করে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে। কার তুলনা করে কার সঙ্গে? আমি তো মনে করি, এটা করে নেলসন ম্যান্ডেলাকে অপমান করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর জাতির স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে কারাগারে ছিলেন। দুর্নীতি করে কারাগারে যাননি।”

খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময়ে তাঁকে হত্যার প্রচেষ্টায় আইভী রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যা এবং একাধিকবার হত্যা প্রচেষ্টার ও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করায় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০০৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ আমরা যে মহাজোট গড়ে তুলি; আমরা বিপুল ভোটে জয় লাভ করি। সে-সময় বিএনপি-জামায়াত জোট, তাঁরা কি পেয়েছিল? তারা মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল।”

তিনি বলেন, “২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে তো কেউ কথা বলেনি। বিএনপি যদি এতই জনপ্রিয় সংগঠন হয়ে থাকতো, তাহলে মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল কেন? তাঁরা মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল এ-কথাটা অনেকে ভুলে যায়।”

Loading...