বঙ্গবন্ধু বিপিএল, ২৮ ডিসেম্বর, শনিবার
শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৫৭/৪ (রুবেল ৩৯, ফ্লেচার ৩৭, রাদারফোর্ড ২৬*; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, শহিদুল ২/২৬)
খুলনা টাইগার্স: ১৭.৫ ওভারে ১৫৮/২ (মিরাজ ৮৭*, শান্ত ৪১; ইবাদত ১/২১, রাদারফোর্ড ১/৯)
ফলাফল: খুলনা টাইগার্স ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ
ভালোভাবে শুরু করেও বড় স্কোর গড়তে পারেনি সিলেট থান্ডার। অন্যদিকে, সহজ লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শতরান ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটি পায় খুলনা টাইগার্স। ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ারসেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংসে দলটি জিতেছে অনায়াসেই।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সিলেটকে আট উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। মোসাদ্দেক হোসেনদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মুশফিকুর রহিমরা জিতেছেন ১৩ বল হাতে রেখে। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ৬২ বলে ৮৭ রান করে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এর সপ্তম ম্যাচে এটি খুলনার পঞ্চম জয়। দলটির অর্জন ১০ পয়েন্ট। সমান-সংখ্যক ম্যাচে সিলেটের এটি ষষ্ঠ পরাজয়। দলটির পয়েন্ট মাত্র ২।
এদিন পরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের বোলারদের কোনোরকম পাত্তা না দিয়ে ৭৪ বলে ১১৫ রান যোগ করেন শান্ত ও মিরাজ। চলতি বিপিএল-এ এটাই সর্বোচ্চ ও প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি।
এই জুটি ভাঙেন ইবাদত হোসেন। ৩১ বলে পাঁচ চারে ৪১ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতি শান্ত। অন্যপ্রান্তে মিরাজ তুলে নেন সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশত রান। এ-বছরের শুরুতে গত বিপিএল-এ রাজশাহী কিংসের হয়ে ৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার।
খুলনার জয় যখন সময়ের ব্যাপার, তখন ফেরেন তিনে নামা রাইলি রুশো। ১১ বলে ১৫ রান করে শেরফান রাদারফোর্ডের শিকার হন তিনি। দলনেতা মুশফিককে নিয়ে বাকি কাজটুকু শেষ করেন মিরাজ।
অনবদ্য ৮৭ রানের ইনিংসে নয় চার ও তিন ছক্কা মেরেছেন মিরাজ। মাঝে একবার জীবন পান ব্যক্তিগত ৭৬ রানে। নাঈম হাসানের বলে লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দেন বিপিএল-এর শুরুতে ‘বিশাল নো বল’ করে আলোচনায় আসা ক্রিসমার সান্টকি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটকে ভালাে সূচনাই এনে দিয়েছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। রবি ফ্রাইলিঙ্কের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকে তিন চার ও এক ছক্কায় তিনি করেন ২১ রান। তবে অন্য প্রান্তে রুবেল খেলেছেন হালকা মেজাজে।
৬২ রানে দলটির উদ্বোধনী জুটি ভাঙে নবম ওভারের শেষ বলে। ফ্রাইলিঙ্কই আক্রমণে ফিরে বিদায় করেন ফ্লেচারকে। ২৪ বলে ৩৭ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান।
ধীরগতিতে ব্যাটিং করা রুবেল প্রথম বাউন্ডারি মারেন নিজের মুখোমুখি হওয়া ৩২তম বলে। এরপর হাত খোলার কিছুটা প্রয়াস ছিল তাঁর। জনসন চার্লসের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৪ বলে ৪০ রান যোগ করেন তিনি।
মাত্র ১ উইকেটে ১০০ রান করা সিলেট এরপর দ্রুতগতিতে তিন উইকেট হারায়। চার্লস ১২ বলে ১৭ রান করে ফ্রাইলিঙ্কের দ্বিতীয় শিকার হন। ৪৪ বলে ৩৯ রান করা রুবেলকে বিদায় করেন শহিদুল ইসলাম। ওই ওভারেই মোহাম্মদ মিঠুনকে রানের খাতা খুলতে না দিয়ে সাজঘরে ফেরান তিনি।
পঞ্চম উইকেটে ৩৭ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সিলেটের সংগ্রহ দেড়শ পার করান রাদারফোর্ড ও মোসাদ্দেক। কিন্তু তাঁরা কেউই প্রত্যাশিত রান পাননি। রাদারফোর্ড ২০ বলে ২৬ ও মোসাদ্দেক ১৮ বলে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
