loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

বিপিএল: চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে রাজশাহী রয়্যাল্স


বিপিএল: চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে রাজশাহী রয়্যাল্স

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বুধবার (১৫ জানুয়ারি)
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ঢাকা

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার

সংক্ষিপ্ত স্কোর

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯ (গেইল ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৩৩; ইরফান ২/১৬, রাসেল ১/৩৫, নাওয়াজ ২/১৩, আফিফ ১/২০)
রাজশাহী রয়্যাল্স: ১৯.২ ওভারে ১৬৫/৮ (রাসেল ৫৪*, শুক্কুর ৪৫; রুবেল ২/৩২, এমরিত ২/৪১, মাহমুদউল্লাহ ১/১০, জিয়া ১/১৬)
ফলাফল: রাজশাহী রয়্যাল্স দুই উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যাল্স)

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার মাচে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে দুই উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে রাজশাহী রয়্যাল্স।

শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন শেষ দুই ওভারে রাজশাহীর দরকার ছিল ৩১ রান। দুই ছক্কা, দুই চারসহ মেহেদী হাসান রানার উনবিংশ ওভারে এলো ২৩ রান; ফলে শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় - আট রান। শেষ ওভারে এই রান করতে দুই বল খেলতে হয়েছে রাজশাহীকে। প্রথম দুই বলে একটি ওয়াইড ও একটি নো-বল এবং সেই নো-বলে ছক্কায় ম্যাচের নাটকীয় পরিসমাপ্তি ঘটে। প্রায় অবিশ্বাস্য এই জয়ের মূল নায়ক রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল।

অথচ একসময় মনে হয়েছিল - বেশ বড় জয় পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। ১৫ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে রাজশাহীর রান ছিল ৮৯। এরপর ম্যাচের মোড় একাই ঘুরিয়ে দেন রাসেল। পুরো বিপিএল-এ নিস্প্রভ থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তা পুষিয়ে দিলেন এই ক্যারিবিয়ান। মাত্র ২২ বলে খেলেছেন ৫৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস (দুইটি চার ও সাতটি ছক্কাসহ)।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ১৪ রানে বিদায় নেন দুই ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব ও লিটন কুমার দাস। এরপর ২০ রানে ফেরেন অলক কাপালি। ফলে বেশ চাপে পড়ে যায় দলটি। এরপর শোয়েব মালিককে নিয়ে হাল ধরেন ইরফান শুক্কুর। ৪৬ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মালিকের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শুক্কুরও।

প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারলেও দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন রাজশাহীর পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হিমশিম খেলেন এই ব্যাটসম্যান। অথচ দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন তিনি। আগের ম্যাচে ৫০ বলে ৮০ রান করা মালিক এদিন ২২ বলে করেছেন মাত্র ১৪ রান। ইরফানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ বলে ৪৫ রান। অবশ্য তাঁদের ব্যর্থতা একাই ঢেকে দেন রাসেল। চার বল বাকী রেখেই দলকে জয় এনে দিয়েছেন তিনি।

মালিক-শুক্কুররা রানের চাকা সচল রাখতে না পারলে দলকে টেনে তোলার পথে মোহাম্মদ নাওয়াজকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়েন রাসেল। এরপর সপ্তদশ ওভারে জোড়া উইকেট তুলে রাজশাহীকে ফের চাপে ফেলে দেন রায়াদ এমরিত। কিন্তু রাসেলের লক্ষ্য ছিল অন্য কিছু। বাকী কাজ প্রায় একাই করেছেন অধিনায়ক।

এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে চট্টগ্রাম। ক্রিস গেইলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো ছিল দলটির। ৪৫ রানে দুই উইকেট হারালেও গেইলের কারণে রানের চাকা সচলই ছিল। ফলে ১০ ওভারের আগেই শতরান পার করে দলটি।

দলীয় ৯৭ রানে আফিফ হোসেন ধ্রুবর বলে লাইন মিস করে বোল্ড হন গেইল। এরপর আগ্রাসন শুরু করেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আফিফের সেই ওভারেই মারেন দু’টি ছক্কা। তবে তাঁকে খুব বেশি অগ্রসর হতে দেননি মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাঁর কুইকার ঠিকভাবে খেলতে না পারলে বোল্ড হন অধিনায়ক। 

এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম, যদিও টিকতে চেষ্টা করেছিলেন আসেলা গুনারাত্নে। যাহোক, নির্ধারিত ২০ ওভারে নয় উইকেটে ১৬৪ রান করতে পেরেছেন তাঁরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন গেইল। মাত্র ২৪ বলে ছয়টি চার ও পাঁছটি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৩ ও গুনারাত্নে ৩১ রান করেছেন। 

রাজশাহীর পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন ইরফান ও নাওয়াজ। দু’জনই দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন। তাঁদের করা আট ওভারে রান এসেছে মাত্র ২৯।

Loading...