প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে থমকে আছে সারাবিশ্ব। কোভিড-১৯ এর থাবা বাংলাদেশেও এসেছে। ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব - নববর্ষ। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবার নববর্ষ উদযাপনের সুযোগ নেই। কারণ দেশের সকলেই গৃহবন্দী।
তবে বর্তমান পরিস্থিতিটা ভালোভাবে সামাল দিতে পারলে ভবিষ্যতে আরও অনেক উপলক্ষ্য উদযাপন করা যাবে, বলেছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার ও সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এক ভিডিও বার্তায় জাহানারা বলেন, ‘আজ বাংলা বছরের প্রথম দিন। এ-দিনটাকে আমরা সবাই পান্তা-ইলিশ এবং নতুন জামাকাপড়ের মাধ্যমে বরণ করে নেই। আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ, বর্তমানে যে-সিচুয়েশনের মধ্যে থেকে আমরা পার হচ্ছি, এই সিচুয়েশন যদি আমরা খুব ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারি, তাহলে শুধুমাত্র এই অকেশন নয়, সামনে আরও যতো অকেশন আছে - খুব ভালোভাবে পরিবারের সঙ্গে আমরা সেটি উদযাপন করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’
করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়ছেন চিকিৎসক-আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সেচ্ছাসেবকরা। এই যোদ্ধাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
‘আর এই পরিস্থিতিতে যাঁরা জীবনের পরোয়া না-করে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন - যে ডক্টর এবং নার্সরা - তাঁদেরকে আমার স্যালুট। আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাঁদেরকে আমি। ইতোমধ্যে অনেক ডাক্তার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন এবং অনেক ডক্টর এবং নার্স সংক্রমিত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করি - আপনারা খুব শিগগিরই সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন।’
‘এবং আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রশাসনে যাঁরা আছেন, পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব - আপনারা যাঁরা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় থেকে, আমাদেরকে বাড়িতে থাকা নিশ্চিত করছেন; আজ বছরের প্রথম দিন, আপনারা আপনাদের পরিবারের সঙ্গে না-থেকে আজ আমাদের জন্য ডিউটি করছেন। আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ এবং আমার স্যালুট।’
‘আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি একইসঙ্গে ডেলিভারি বয়দেরকে - যাঁরা অনেক অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের দ্বারে দ্বারে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন এবং জরুরি ওষুধ সরবরাহ করছেন, আপনাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’
একটা কথা-ই শুধু বলতে চাই - বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন, সেইফ থাকুন, সচেতন থাকুন। ধন্যবাদ।’