loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী ডিজিটাল পদ্ধতিতে পালিত হলো


জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী ডিজিটাল পদ্ধতিতে পালিত হলো

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে জনসমাগম পরিহারের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে আজ সারাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯–১৯৭৬) ১২১তম জন্মবাষির্কী উদযাপিত হয়েছে। এ-উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘জাগো অমৃত পিয়াসী’ শীর্ষক প্রায় ৫০ মিনিটের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান নির্মাণ করে – যা আজ সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভিতে সম্প্রচারিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে পর্যায়ক্রমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম।

বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিকের নির্দেশনায় ও জেম্স অফ নজরুলের পরিবেশনায় সমবেত কণ্ঠে জনপ্রিয় নজরুল সংগীত ‘জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত, আত্মা অনিরুদ্ধ কল্যাণ প্রবুদ্ধ’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূলপর্ব শুরু হয়। নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘বাংলাদেশ’ আবৃত্তি করে শোনান বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী হাসান আরিফ। এরপর নজরুলের জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্রের অংশবিশেষ প্রদর্শিত হয়।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাবের নির্দেশনায় জনপ্রিয় নজরুলগীতি ‘শঙ্কাশূন্য লক্ষ কণ্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল’ সহ অন্যান্য গানের সাথে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন নজরুল ইনস্টিটিউটের নৃত্যশিল্পীবৃন্দ।

এরপর যথাক্রমে শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের কণ্ঠে ‘ওঠরে চাষী জগতবাসী, ধর কষে লাঙল’, শিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদের কণ্ঠে ‘হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ’ ও শিল্পী ইয়াকুব আলী খানের কণ্ঠে ‘নয়নে নিদ নাহি, নিশীথ প্রহর জাগি, একাকিনী গান গাহি’ শীর্ষক একক নজরুল গীতি পরিবেশিত হয়।

নজরুলের আরেকটি বিখ্যাত গান ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১২১তম নজরুল জন্মজয়ন্তীর এই বিশেষ অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ছিল নজরুল ইনস্টিটিউট। শহিদুল আলম সাচ্চুর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ও চ্যানেল নাইনের কারিগরি সহযোগিতায় অনুষ্ঠান নির্মাণে সহায়তা করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। বিশেষ অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেন আব্দুস সাত্তার হৃদয় ও উপস্থাপনা করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রতিবছর ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও এ-বছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পর্যায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও দোয়া। বিশ্ব¦বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।তিনি কবির বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করেন।

এ-সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সম্প্রীতি, সাম্য ও মানবতার কবি। তিনি সবসময় অন্যায়-অত্যাচার ও অসাম্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদী ছিলেন। তাঁর লেখা গান, কবিতা, গল্প ও উপন্যাস আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সকলকে উদ্বুদ্ধ করেছে। কবির অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধে সকলে উজ্জীবিত হয়ে সাহসের সাথে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।

Loading...