loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

মাস্ক পরার নতুন পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা


মাস্ক পরার নতুন পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) মাস্ক পরা নিয়ে নতুন পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, যেখানে ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে এবং সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না – সেখানে মাস্ক পরা উচিত। গত ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে মাস্ক পরার বিষয়টি বিশ্বজুড়েই ব্যাপক আলোচিত হয়ে আসছে।

ডাব্লিউএইচও-এর প্রধান টেড্রস আধানম গেব্রিয়াসুস শুক্রবার (৫ জুন) এক নতুন গবেষণার আলোকে বলেছেন, বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর উচিত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এলাকায় এবং যেখানে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব হচ্ছে না – সেসব জায়গায় জনগণকে মাস্ক পরতে উৎসাহিত করা। তবে সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, কোভিড -১৯ থেকে রক্ষায় শুধুমাত্র মাস্কই যথেষ্ট নয়, সম্ভব হলে বাইরে বের হওয়া বন্ধ করতে হবে।

ডাব্লিউএইচও কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকা রোগীকে বাড়িতেই অবস্থান করার পরামর্শ বহাল রেখে বলেছে, ভীষণ জরুরি কোনো প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে তাঁদেরকে অবশ্যই মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া, বাড়িতে আক্রান্ত ব্যক্তির দেখাশোনা যিনি করবেন – তাঁকেও মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের মেডিক্যাল মাস্ক পরার পাশাপাশি সুরক্ষা সরঞ্জামও গ্রহণ করতে হবে।

ডব্লিউএইচও তাঁর নতুন পরামর্শে আরও বলেছে, ব্যাপকভাবে সংক্রমিত এলাকা ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করছে, কিন্তু কোভিড- ১৯ রোগীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন – এমন সকলকেও মেডিক্যাল মাস্ক পরতে হবে।

সংস্থাটি সাধারণ জনগণের জন্য কাপড়ের তৈরি তিনস্তরবিশিষ্ট নন-মেডিক্যাল মাস্ক সুপারিশ করেছে। এর প্রথম স্তরে সূতি কাপড়, দ্বিতীয় স্তরে ফিল্টারের কাজ করবে – এমন নন ওভেন পলিপ্রোপিলেন এবং সবশেষে বাইরের দিকে পানিরোধী পলিস্টার জাতীয় কাপড় থাকবে।

তবে, মাস্ক ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার শুধুমাত্র একটি উপায় উল্লেখ করে টেড্রস বলেন, এটি শারীরিক দূরত্ব কিংবা হাত পরিষ্কার করার পরিপূরক নয়। তিনি বলেন, শনাক্তকরণ, বিচ্ছিন্নকরণ, পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা প্রতিটি ক্ষেত্রে জরুরি। আমরা জানি – এটিই কাজ করে। প্রতিটি দেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এটিই সর্বোত্তম প্রতিরক্ষা।

উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত লোকের সংখ্যা বর্তমানে অন্তত ৬৭ লাখ। এ-পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি লোকের।

Loading...