loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

লকডাউনে ওয়ারী, জরুরি পণ্য নিয়ে পাশে থাকছে ই-ক্যাব


লকডাউনে ওয়ারী, জরুরি পণ্য নিয়ে পাশে থাকছে ই-ক্যাব

৪ জুলাই থেকে ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে ঢাকা-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ৪১ নং ওয়ার্ড ওয়ারীতে। এ-সময় দু’টি প্রবেশমুখ ছাড়া সব রাস্তা বন্ধ থাকবে। জনসাধারণ এই সময়ে জরুরি চিকিৎসা-প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার জন্য এটুআই-এর কাজ করবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)-এর ২০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান।

গত ৩০ জুন ঢাকা-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অনুষ্ঠিত মেয়র ব্যরিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অুনষ্ঠিত কেন্দ্রীয় রেডজোন ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অত্র এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে চিঠি দেয়।

ঢাকা-উত্তর সিটি কর্পোরেশন-এর রাজাবাজার এলাকায় ২১ দিনের লকডাউন কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে। রাজাবাজার এলাকায় ২১ দিন যাবত জনসাধারণকে ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করেছে ই-ক্যাব-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ। রাজাবাজারে নতুন করে করোনা সংক্রমণ না-হওয়ায় এই মডেলে ৪ জুলাই থেকে রাজধানীর ওয়ারী এলাকা লকডাউনে গেলো।

ঢাকা শহরে লকডাউন এলাকায় সেবা দেয়ার জন্য সক্ষমতা এবং বিগত দিনের সেবার উপর বিশ্লেষণ করে এটুআই-এর তত্ত্বাবধায়নে ই-ক্যাব-এর সদস্য ৭০টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ই-ক্যাব-এর সদস্য সংখ্যা ১২শ’র বেশি। এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান রাজাবাজারে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সেবা দেবে। একটি অনলাইন ফার্মেসিসহ আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবার জন্য প্রস্তুত থাকবে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু অর্ডারের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে।

ই-ক্যাব-এর প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, আমরা দুই সিটি মেয়রকে নিশ্চয়তা দিয়েছি যে, আমরা বিধি মেনে ন্যায্যমূল্যে ঘরে থাকা মানুষের কাছে নিত্যপণ্য পৌঁছে দিতে চাই। আমাদের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা-সংক্রমণের শুরু থেকে সে-কাজটি দক্ষতার সাথে করে আসছে। আশা করি ওয়ারীতেও তার ব্যতিক্রম হবেনা।

ই-ক্যাব-এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, রাজাবাজারের মতো ওয়ারীতেও মানুষের পাশে থাকব আমরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখানে নিত্যপণ্য সরবরাহ করবো, যাতে জনসাধারণকে ঘর থেকে বের হতে না হয়। ই-ক্যাব-এর সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়িতে করে গিয়ে পণ্য ঘরে ঘরে পৌছে দেবে। এজন্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হবে না এবং আমাদের একটি টিম সার্বক্ষণিক বিষয়টি তদারক করবে। এতে এটুআই সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে।

এটুআই-এর হেড অফ ই-কমার্স রেজওয়ানুল হক জামি বলেন, আমরা আসলে রাজাবাজারের অপারেশনটাকে মডেল হিসেবে দেখতে চাই। প্রতিটি ডেলিভারি এবং প্রতিটি গাড়িকে যেভাবে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথে নজরদারি করা হয়েছে। সে-অভিজ্ঞতাটাই আমরা কাজে লাগাতে চাই।

ওয়ারীতে ফার্মেসি ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপণ্যের জন্য দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠান সীমিত সময়ের জন্য স্বল্প পরিমাণে পণ্য বাসায় ডেলিভারি দিতে পারবে। জরুরি প্রয়োজনে শুধুমাত্র দুটো গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হতে পারবে। তবে, পণ্য চলাচলের জন্য শুধুমাত্র একটি গেইট ব্যবহার করা হবে। পুলিশ, সেনাসদস্য, এটুআই প্রতিনিধি, ই-ক্যাব প্রতিনিধি ছাড়াও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...