loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

হূমায়ুন আহমেদের প্রয়াণ দিবস আজ


হূমায়ুন আহমেদের প্রয়াণ দিবস আজ

নন্দিত কথাসাহিত্যিক, জনপ্রিয় নাট্যকার, সফল চলচ্চিত্রকার হূমায়ুন আহমেদের অষ্টম প্রয়াণ দিবস আজ। মারণব্যাধি ক্যান্সারের কাছে পরাজিত হয়ে ২০১২ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন।

হুমায়ুন আহমেদকে জীবদ্দশায় বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক বলা হতো। লেখালেখি করে তিনি পেয়েছিলেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তাঁর নতুন বই মানেই নিমিষেই হাজার-হাজার কপি বিক্রি হওয়া। এদেশের পাঠকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতেন তাঁর নতুন বইয়ের জন্য।

আবার নাট্যকার হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল। হঠাৎ করে এলেন চলচ্চিত্র নির্মাণে; সেখানেও সফল। তিনি যেখানে হাত দিয়েছেন সেখানেই সোনা ফলেছে।

শহুরে জীবনে থেকেও বৃষ্টির প্রতি ছিল তাঁর গভীর ভালোবাসা। এই ভালোবাসা থেকেই হূমায়ুন আহমেদ নিজের একটি বাড়ির নাম রেখেছিলেন ‘বৃষ্টিবিলাস’। ওই বাড়িটি এখনো আছে নুহাশপল্লীতে। বৃষ্টিবিলাস নামে তাঁর একটি উপন্যাসও আছে।

জোছনার প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে তিনি লিখেছেন অনেক বই। জোছনা রাত উপভোগ করার জন্য নুহাশপল্লীতে কাছের মানুষদের নিয়ে সময় কাটাতেন। সবুজ ঘাসের ওপর হেঁটে হেঁটে জোছনা দেখতেন আর মুগ্ধ হয়ে ভাবতে থাকতেন।

‘জলজোছনা’ নামে রয়েছে তাঁর একটি উপন্যাস। মৃত্যুর আগে ‘চন্দ্রসখা’ নামে একটি উপন্যাসও লিখতে চেয়েছিলেন। বইটির প্রচ্ছদও ছাপা হয়েছিল বলে জানা যায়, কিন্ত বইটি লিখে যেতে পারেননি তিনি।

তাঁর ছিল সমুদ্রের প্রতি ভালোবাসা ও টান। ‘সমুদ্রবিলাস’ নামেও তার একটি উপন্যাস আছে। আবার সমুদ্রের প্রতি তীব্র টান থাকার কারণে সেন্টমার্টিনে একটি বাড়িও করেছিলেন। সেই বাড়ি আজও আছে।

বৃক্ষের প্রতি কতোটা মমতা ছিল তাঁর – নুহাশপল্লীর শতশত দেশি-বিদেশি বৃক্ষই এর প্রমাণ। হূমায়ুন আহমেদ যেখানেই যেতেন, নতুন নতুন গাছের চারা এনে রোপন করতেন নুহাশপল্লীতে।

হূমায়ুন আহমেদ ছবি তুলতে পছন্দ করতেন। সময় পেলেই তিনি এই কাজটি করতেন আনন্দ নিয়ে। বিশেষ করে দুই পুত্র নিষাদ ও নিনিতের ছবি এবং প্রকৃতির ছবি তুলতে ভালোবাসতেন।

ছবি আঁকতেও ভালোবাসতেন হূমায়ুন আহমেদ। লেখালেখির মাঝে কখনো কখনো সময় ঠিকই বের করতেন ছবি আঁকার জন্য।

শুধু জীবদ্দশায়ই নয় – মৃত্যুর পরেও পাঠকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েই আছেন তিনি। এখনো একুশে বই মেলায় তাঁর বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এদেশে লেখালেখির জন্য হূমায়ুন আহমেদই সবচেয়ে বেশি সম্মানী নিতেন।

আজ আট বছর হলো তিনি নেই; কিন্ত তাঁর অসংখ্য বই, টিভি নাটক, সিনেমা, গান রয়ে গেছে। ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাস দিয়ে লেখক-জীবনের সূচনা করেছিলেন তিনি। ‘দেয়াল’ নামের রাজনৈতিক উপন্যাস দিয়ে লেখালেখির ইতি টানেন। বাংলা ভাষার পাঠকরা তাঁকে ভালোবেসে চলেছেন ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আজও তিনি সবার কাছে নন্দিত হূমায়ুন আহমেদ।

Loading...