সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১৫৭/৭ (ফিঞ্চ ৪০, স্টয়নিস ৩৫; আর্চার ১/৩২, উড ১/২৫, রশিদ ১/২৫, জর্ডান ২/৪০)
ইংল্যান্ড: ১৮.৫ ওভারে ১৫৮/৪ (বাটলার ৭৭*, মালান ৪২; স্টার্ক ১/২৫, জ্যাম্পা ১/৪২, অ্যাগার ২/২৭)
ফলাফল: ইংল্যান্ড ছয় উইকেটে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ: জস্ বাটলার
সিরিজের আগের ম্যাচে অনায়াসে জেতার মতো অবস্থায় থেকে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচটিতে লড়াই হয়েছিল সমানে সমান। এবার ইংল্যান্ডের কাছে যেন পাত্তাই পেলেন না অ্যারন ফিঞ্চরা। তাঁদের মামুলি রান সংগ্রহ উড়ে গেছে জস্ বাটলারের ব্যাটিং-ঝড়ে।
সাউদাম্পটনের এইজেস বৌলে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ১৫৭ রান সাত বল হাতে রেখে পার হয়ে ছয় উইকেটে জিতেছে ইংল্যান্ড। ফলে, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ইংল্যান্ড জিতলো এক ম্যাচ বাকী থাকতেই।
এদিন দলকে জেতাতে ৫৪ বলে ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন কিপার ব্যাট্সম্যান জস্ বাটলার।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে নেমে জনি বেয়ারস্টো আবারও হতাশ করেছেন। এবার মিচেল স্টার্কের বলে হিট উইকেট হয়ে থেমেছেন নয় রানে। ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর লম্বা সময় কোনো বিপর্যয় হয়নি। দারুণ ছন্দে থাকা দুই ব্যাটসম্যান বাটলার ও ডেভিড মালান খেলেছেন অনায়াসে।
অস্ট্রেলিয়ার সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা অনেকটাই ফুরিয়ে যায় এই জুটিতে। বাঁহাতি স্পিনার অ্যাস্টন অ্যাগারের বলে ৩২ বলে ৪২ করা মালান আউট হলে ভাঙে জুটি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ততক্ষণে তাঁরা যোগ করে ফেলেছেন ৮৭ রান। মালানের আউটের পর দ্রুত টম ব্যান্টন ও ইয়ন মরগ্যানকে হারায় স্বাগতিক দল।
আগের ম্যাচে যে-অবস্থা থেকে অস্ট্রেলিয়া হেরে বসেছিল – সেই অবস্থার পুনরাবৃত্তি উল্টোভাবে হয় কি-না এমন একটা শঙ্কা ক্ষীণভাবে জেগেছিল। কিন্তু মইন আলিকে নিয়ে তা হতে দেননি বাটলার। আট বাউন্ডারি আর দুই ছক্কার ইনিংসে অজিদের ম্যাচে ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে যায়।
শেষ দুই ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৮ রান। লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পার করা উনবিংশ ওভারকে টার্গেট বানিয়ে ফেলেন তাঁরা। প্রথম বলে একরান নিয়ে বাটলার স্ট্রাইক দিয়েছিলেন মইনকে। মইন এক ছক্কা, এক চার মেরে বাটলারকে স্ট্রাইক দেওয়ার পর বাকিটা কাজ শেষ করেন এই ওপেনার। বিশাল এক ছক্কায় অজিদের আছড়ে ফেলেন ম্যাচের বাইরে।
আগে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পুড়েছে অস্ট্রেলিয়া। এবার রান পাননি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। প্রথম ওভারেই ওয়ার্নারের উইকেট দিয়ে শুরু। জোফ্রা আর্চারের পেসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
অ্যালেক্স ক্যারি, স্টিভেন স্মিথরা আগের ম্যাচের মতোই আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে অধিনায়ক ফিঞ্চ চেষ্টা করেছেন। দু’জনই শেষ পর্যন্ত টিকে তেমন বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি দলকে।
