loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

মোদির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চেয়েছেন


মোদির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন চেয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ইতোপূর্বে উপনীত প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তির বাস্তবায়ন কামনা করেছেন। শনিবার (২৭ মার্চ) ঢাকায় তাঁর অফিসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় শেখ হাসিনা ‘সীমান্ত ঘটনা’ শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘নয় বছর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত সেই চুক্তি এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, প্রস্তাবিত এই চুক্তি বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। কারণ পানিস্বল্পতার কারণে তিস্তা তীরবর্তী মানুষকে ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সীমান্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময় এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি সীমান্ত ঘটনা শূন্য পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিষয়টি যথাযথভাবে দেখভাল করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।

ইহসানুল করিম জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, তাঁর দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সকল অভিন্ন নদীর পানি বন্টনের যুক্তিসঙ্গত সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোদি আরও জানান, সীমান্ত ঘটনার ব্যাপারে গ্রাউন্ড লেবেল পর্যায়ে সহযোগিতা এর প্রতিরোধে সহায়ক হবে।

আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও ওঠে আসে। এ-প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মায়ানমার থেকে বিতাড়িত ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ নয়াদিল্লির সক্রিয় ভূমিকা আশা করে। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফল্যজনকভাবে টিকা প্রদান অভিযান শুরুর জন্য নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানান। তিনি ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির আওতায় বাংলাদেশসহ এতদঞ্চলের অন্যান্য দেশে টিকা সরবরাহের জন্য নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। তিনি ১২ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা উপহার হিসেবে দেয়ার জন্যও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী সেতু চালু হওয়ায় যোগাযোগ খাতে সহযোগিতায় নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। তিনি বলেন, এরফলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট ব্যাবহার করতে পারবে।

নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্তকরণে কয়েকটি রুটের কথা উল্লেখ করে পরস্পরের সম্ভাবনার স্বার্থে ভারত তা বিবেচনা করবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে মোটর যান চলাচল চুক্তি হলে তিন দেশই লাভবান হবে।

শেখ হাসিনা ‘মুজিবনগর-নদীয়া রোড’ স্বাধীনতা সড়ক হিসেবে নামকরণে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত দিল্লি ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়নের প্রশংসা করেন।

আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও পররাষ্ট্র সচিব মাসউদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।অন্যদিকে, ভারতীয় পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, সেদেশের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত কুমা ধোবাল ও বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

Loading...