loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে উঠালেন এমিলিয়ানো


আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে উঠালেন এমিলিয়ানো

শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। দারুণ খেলে কলম্বিয়া  বিরতির পরে সমতায় ফেরে। দুই দল এরপর একাধিক সুযোগ নষ্ট করলে খেলা যায় টাইব্রেকারে। সেখানে তিনটি শট ঠেকিয়ে আর্জেন্টিনার নায়ক হয়েছেন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

ব্রাসিলিয়ায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে শেষ হয়। পরে টাইব্রেকারে কলম্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ১১ জুলাই চূড়ান্ত লড়াইয়ে দলটির প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্বাগতিক ব্রাজিল।

টাইব্রেকারের স্নায়ু-পরীক্ষায় কলম্বিয়ার হয়ে প্রথম শটে গোল পান কুয়াদ্রাদো। মেসি প্রথম শটে ভুল করেননি। কলম্বিয়ার হয়ে দ্বিতীয় শট মিস করেন সান্চেজ; আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তাঁর শট। আর্জেন্টিনার হয়ে ডে পল পরেরটি মারেন বাইরে।

আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক নৈপুণ্য দেখান পরের শটেও; ইয়েরি মিনার শটও ঠেকিয়ে দেন তিনি। আর্জেন্টিনার হয়ে লিয়ান্দ্রো পেরেজ তৃতীয় শটে জাল স্পর্শ করেন। মিগুয়েল বরা গোল করে টিকিয়ে রাখেন কলম্বিয়ার আশা। লাউতারো মার্টিনেজ গোল পেলে এগিয়ে থাকে আর্জেন্টিনা। পরেরটিতেই ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে; এডুইন কার্ডোনার দুর্বল শট ঠেকাতে সমস্যা হয়নি এমিলিয়ানোর। ফলে, উৎসবে মেতে উঠেন লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা।

এদিন খেলার শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। গোল পেতেও দেরি হয়নি; সপ্তম মিনিটে মেসির ক্রস ধরে বল জালে জড়িয়ে দেন লাউতারো মার্টিনেজ। দুই মিনিট পরেই সমতায় ফিরতে পারতো কলম্বিয়া; গিয়ের্মো কুয়াদ্রাদো বক্সের কাছাকাছি বল পেয়ে দারুণ শট নিয়েছিলেন, কোনোমতে তা ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো।

পরের কয়েক মিনিট আক্রমণ বাড়ায় কলম্বিয়া; মাঠের নিয়ন্ত্রণও চলে যায় তাঁদের কাছে। অবশ্য, আর্জেন্টিনা প্রতি-আক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করছিল।

৩৬ মিনিটে বড় সুযোগ হাতছাড়া হয় কলম্বিয়ার। রাফায়েল বারোর উদ্দেশ্যে বক্সে ক্রস এসেছিল, তা কর্নারের বিনিময়ে বাঁচান নিকোলাই ওটামেন্ডি। কুয়াদ্রাদোর নেওয়া কর্নার খুঁজে পেয়েছিল ইয়েরি মিনারকে; তাঁর হেড গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারে লেগেছে।

৪৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো আর্জেন্টিনা; মেসির কর্নার থেকে হেড করার বল পেয়েছিলেন নিকোলাস গঞ্জালেস। যাহােক, কলম্বিয়ান গোলরক্ষক আস্পিনার হাত ছুঁয়ে তা বাইরে চলে যায়।

বিরতির পরপরই সুযোগ এসেছিল কলম্বিয়ার। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি লুইস ডিয়াজ; তাঁর দুর্বল শট যায় এমিলিয়ানোর হাতে।

৫২ মিনিটে আবার সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া; বক্সের ভেতরে ঢুকে ভারসাম্য রাখতে পারেননি ডিয়াজ। জটলায় থেকে যাওয়া বল ঠেকান এমিলিয়ানো। ফিরতি বলে কোয়াদ্রেদোর শট আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডারের শরীরে লেগে ফেরে। কলম্বিয়া পেনাল্টির আবেদন করলেও রেফারি তাতে সাড়া দেননি ।

৬০ মিনিটে বদলি নামা মিগুয়েল বরহা বল মারেন বাইরে। পরের মিনিটেই কলম্বিয়ার এডউইন কার্ডানোর লম্বা পাস ধরে তীব্র গতিতে বল নিয়ে ছুটে আসেন ডিয়াস। বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে দলকে সমতায় ফেরান তিনি।

৬৮ মিনিটে কোয়াদ্রেদোর ফ্রি কিক পেয়ে দুর্বল চেষ্টায় নষ্ট করেন ডেভিনসন সান্চেজ। কলম্বিয়ার চাপ ব্যাহত হয়েছে তাতে। দুই মিনিট পরে প্রতি-আক্রমণ থেকে বল নিয়ে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দুর্বল শট গেছে কলম্বিয়ার কিপার আস্পিনার হাতে।

৭২ মিনিটে দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে আর্জেন্টিনার। ডিফেন্সের ভুলে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন ডি মারিয়া; আস্পিনা বেরিয়ে এসে তা ঠেকানোর চেষ্টা করেও পারেননি। ডি মারিয়ার কাছ থেকে বল পেয়ে সহজ শট গোল করার সুযোগ হারান লাউতারো; তাঁর শট গোললাইন থেকে ঠেকিয়ে দেন মিনা। ফিরতি বল বাইরে মারেন ডি মারিয়া।

৮০ মিনিটে বক্সে ঢুকে মেসির নেওয়া শট লাগে ক্রস বারে। ৯০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে কিছু করতে পারেননি মেসি। ফ্রি কিক থেকে সুযোগ তৈরি করতে পারেননি কার্ডানোও। অতিরিক্ত সময় না থাকায় খেলা যায় টাইব্রেকারে।

Loading...