প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে তাঁর লেখা বই ‘মুজিব আমার পিতা’ অবলম্বনে দেশের প্রথম অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র প্রিমিয়ার শো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। চলচ্চিত্রটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে ১ অক্টোবর। তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মুজিব আমার পিতা’ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের টেকনিক্যাল শো উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ-তথ্য জানান। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।
জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি উদ্বোধন করবেন। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি বিভাগ এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছে। সহযোগিতায় ছিল বিএমআইটি সল্যুউশন লিমিটেড ও প্রোল্যান্সার স্টুডিও। গত ১৬ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্রটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরদের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-গল্প পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তাঁদেরকে জানানোর জন্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের চেয়ে ভালো আর কোনো মাধ্যম হতে পারে না। নির্মাতারা বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা এই অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে আর কেউ ভালো বলতে পারবেন না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা অ্যানিমেশন শিল্পকে এগিয়ে নিতে চাই। কারণ, বর্তমান বিশ্বে অ্যানিমেশন শিল্পের বাজার ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে ও অ্যানিমেশন শিল্পে দেশের তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে এই চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অ্যানিমেশনের বাজারে প্রবেশ এবং অ্যানিমেশন শিল্পে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানিমেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অ্যানিমেশনের বাজারে অবস্থান সুদৃঢ় করতে দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানিমেশন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিআরআই-এর কর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহেল মুহাম্মদ রানাসহ অ্যানিমেশনের সংশ্লিষ্টরা। পরে, প্রতিমন্ত্রী অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র সম্পর্কে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।