সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টােবর) মালদ্বীপের রাজধানী মালিতে অনুষ্ঠিত নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক দেশের কাছে ০-২ গোলে হেরে গেছেন অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
এই নিয়ে মালদ্বীপের কাছে টানা চার ম্যাচে হেরে গেলেও পাঁচ জাতির এই টুর্নামেন্টে এখনো ফাইনাল খেলার সুযোগ রয়েছে তিন ম্যাচ থেকে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করা বেঙ্গল টাইগারদের। অন্যদিকে প্রথম এই জয়ের ফলে তলানি থেকে উঠে এসেছে স্বাগতিক মালদ্বীপ। দুই ম্যাচে তাঁদের সংগ্রহে যুক্ত হয়েছে তিন পয়েন্ট।
দুই ম্যাচে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেপাল। দুই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট করে নিয়ে শিরোপা জয়ের দৌঁড়ে রয়েছে ভারত ও মালদ্বীপ।
গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল মালদ্বীপের জন্য বাঁচা মরার লড়াই। দলটি জানতো বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে হেরে গেলে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসা তাঁদের জন্য কঠিন হবে। আর সেই পথে মালদ্বীপকে যেতে হয়নি হামজা মোহাম্মদ ও আলি আশফাকের কল্যাণে। এই দুই স্ট্রাইকার গোল করে মালদ্বীপকে জয় এনে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাইয়ে দেন।
অবশ্য প্রথমার্ধে স্বাগতিক দলকে বেশ ভালোভাবেই সামলেছে সফরকারি বাংলাদেশ। গোলশূন্য ড্র ছিল প্রথমার্ধ। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে আর আটকে রাখতে পারেনি স্বাগতিক দেশটিকে। হজম করতে হয়েছ দুই গোল।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোল করে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন হামজা মোহাম্মসদ। গোলপোস্টের ভেতর জটলার মধ্যে বাইসাইকেল শটে গোল করেন তিনি।
৭৪ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে মালদ্বীপ। এই সময় একটি প্রতি-আক্রমণ চালানোর সময় বদলি খেলোয়াড় নিয়াজ হোসেনকে পেনাল্টি বক্সেই ফেলে দেন সোহেল রানা; এতে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। মলাদ্বীপের তারকা আলি আশফাক পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে দেন।
এরপর ম্যাচে ফেরার প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে গেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাকী সময়ে আর গোল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি জামাল ভুঁইয়াদের।
খেলা শেষে বাংলাদেশ কোচ ব্রুজন বলেন, ‘গোটা ৯০ মিনিট সময়েই স্বাগতিক দল অপেক্ষাকৃত ভালো খেলেছে। আর এই ব্যবধানের প্রধান কারণ ছিল শারীরিক সক্ষমতা। তিনি বলেন, মালদ্বীপের খেলোয়াড়দের মধ্যে শারীরিক সক্ষমতা বেশি ছিল; কারণ, প্রথম ম্যাচের পরে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য তাঁরা যথেষ্ট সময় পেয়েছে। পাঁচদিন আগে প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল স্বাগতিকরা। অপরদিকে মাত্র ৭২ ঘন্টার ব্যবধানে পরপর ম্যাচে অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশের ছেলেরা ছন্দ হারিয়ে ফেলে।
ফাইনালে খেলার যোগ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে নেপালের। আগামী ১৩ অক্টোবর ম্যাচটি হবে।