বাংলাদেশে গত সোমবার (২৭ জুন) সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল আটটা পর্যন্ত আরও ২,০৮৭ জন করোনায় সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এই ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিনজনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও উদ্বেগজনক, ১৫.৪৭ শতাংশ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ২,১০১ জন শনাক্ত হয়েছিল, মৃত্যু হয়েছিল দুইজনের। শনাক্তের হার ছিল ১৫.২০ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রবণতার কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুসারে মাস্ক পরা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন এবং কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ ছয় দফা নির্দেশনা জারি করেছে গতকাল। এ-ব্যাপারে সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে গতকাল চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এখন পর্যন্ত করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১। মৃতের সংখ্যা ২৯,১৪৫। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল ও বাসায় সুস্থ হয়েছে ২০০ জন। এ-নিয়ে ১৯ লাখ সাত হাজার ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩,১৮৪টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩,৪৮৯টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, নতুন শনাক্তদের মধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগেরই ৮৯৩ জন। এছাড়া, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১২ জন, বরিশালে ২১ জন, খুলনায় ২১ জন, রাজশাহীতে ১১ জন, ময়মনসিংহে ১৫ জন, রংপুরে আটজন ও সিলেটে ছয়জন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ছয়টি নির্দেশনা –
১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।
২. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে।
৩. ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলোতে (যেমন: মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোডিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
৫. দোকান, শপিং মল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায়, তাঁকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
৬. স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সচেতন করবেন।