loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ


অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ

অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশন ভবনে একটি পর্যবেক্ষণ কক্ষ করেছি। পর্যবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। আমরা কেন্দ্র থেকে এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোনও একটি পক্ষ বা কোনও একটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রভাবিত করতে পারছেন। ফলে, আমাদের কাছে মনে হয়েছে – ইমপার্শিয়ালি, ফেয়ারলি ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সম্ভবত পোলিং এজেন্ট, তাঁদের গায়ের গেঞ্জিতে নির্বাচনের প্রতীক ছাপানো ছিল। মেয়েদের একই রকমের শাড়ি নাকি একই রকমের ওড়না ছিল; যেটা নির্বাচন আচরণবিধি পরিপন্থী।’

সিইসি জানান, ‘অনিয়মের কারণে কয়েক দফায় ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করে, ৫১ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়ে গেলে বাকি যে-কেন্দ্রগুলো রয়েছে, তার ভিত্তিতে ফলাফল মূল্যায়ন সঠিক হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আরপিও’র ৯১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কমিশনের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় – ভোটগ্রহণ সঠিকভাবে হচ্ছে না, ফেয়ারলি হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন কমিশন সব ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিতে পারে। আমরা পরিশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুরো নির্বাচনী এলাকা গাইবান্ধা-৫-এর ভোট কার্যক্রম আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত রিটার্নিং অফিসারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওখানে এখন আর ভোট হচ্ছে না। পরবর্তীকালে আমরা দেখবো, বিধিবিধান অনুযায়ী কি করতে হবে। আমরা কমিশন বসে আইন-কানুন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।’

এই নির্বাচনের কী পুনরায় তফসিল হবে – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবো।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইভিএম-এর বিষয় নয়, এটি হচ্ছে – হিউম্যান এলিমেন্ট। এখানে আমরা যান্ত্রিক বা মেকানিক্যাল কোনও সমস্যা দেখিনি। ভোটে ইভিএম কোনও সমস্যা সৃষ্টি করেনি। ভোটকেন্দ্র প্রিসাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’

গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮ জন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান, জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত এ এইচ এম গোলাম শহীদসহ উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

Loading...