পুরুষদের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরে শ্রীলংকার বিদায় আগেই নিশ্চিত হয়েছিল। শনিবার (৫ নভেম্বর) ছিল দলটির নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। অন্যদিকে, সেমিফাইনালের ভাগ্য ঝুলছিল ইংল্যান্ডের। শ্রীলংকার বিপক্ষে পরাজিত হলেই ইংলিশদের বিদায় নিতে হতো। যাহােক, এদিন শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৪২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চার উইকেটে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। আর এই জয়ে, কপাল পুড়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্বকাপের স্বাগতিক ও গতবারের চ্যাম্পিয়নরা চলতি আসরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিলো। অ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বাধীন দলকে বিদায় করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে গ্রুপ-১ থেকে সেমিফাইনালে উঠলো ইংল্যান্ড।
শনিবার ইংল্যান্ড জেতায় পাঁচ ম্যাচে দলটির পয়েন্ট হয়েছে সাত। আগে থেকেই গ্রুপ-১ এ পাঁচ ম্যাচে সাত পয়েন্ট করে নিয়ে সেমিফাইনালের পথে ছিল ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। তবে, রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে অস্ট্রেলিয়াকে বিদায় করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গী হয়ে সেমিফাইনালে গেলাে ইংল্যান্ড।
শনিবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা। আগে ব্যাট করে তেমন ভালো স্কোর গড়তে পারেনি শ্রীলংকা। পাথুম নিশাঙ্কার ৪৫ বলের ৬৭ রানের ইনিংসে ভর করে আট উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করতে সক্ষম হয় সম্প্রতি এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হেইল্সকে সঙ্গে নিয়ে ৭.২ ওভারে ৭৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক জস্ বাটলার। এরপর, মাত্র ৩১ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপের মধ্যে পড়ে যায় দলটি। ২৩ বলে ২৮ রানে ফেরেন বাটলার। ৩০ বলে সাত চার আর এক ছক্কার সাহায্যে ৪৭ রান করে আউট হন অন্য ওপেনার অ্যালেক্স হেইল্স।
সাত রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পরে দলের হাল ধরতে পারেননি হ্যারি ব্রুক্স ও লিয়াম লিভিংস্টোন। তাঁরা দুজনেই চার রান করে ফেরেন। পাঁচ বলে এক রানে আউট হন অলরাউন্ডার মইন আলি। এরপর, স্যাম কারানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান অলরাউন্ডার বেন স্টোক্স।
শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল মাত্র পাঁচ রান। ওভারের প্রথম দুই বলে ডাবল-সিঙ্গেল মিলে তিন রান করেন নেন স্টোক্স-ক্রিস ওক্স। তৃতীয় বল ডট। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি মেরে দুই বল আগেই দলের জয় নিশ্চিত করেন ওক্স। তিন বলে পাঁচ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ৩৬ বলে দুই বাউন্ডারিতে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টোক্স।
