loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

  • ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে ইউভেন্টাস

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেলো ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান


জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেলো ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান পেশায় রাজমিস্ত্রি হলেও নিজের লেখাপড়া চালানোর পাশাপাশি ‘মিলন স্মৃতি পাঠাগার’ নামে ১৬টি গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন পাঠাগার। স্বপ্ন রয়েছে – সরিষাবাড়িতে একটি ‘লাইব্রেরি ভিলেজ’ গড়ে তোলার, যেখানে সব মানুষ এসে বিনামূল্যে যেন বই পড়তে পারেন। তাঁর এই স্বপ্নপূরণে বড় অগ্রগতি হয়েছে শনিবার (১২ নভেম্বর)। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ‘ইয়াং বাংলা’ ক্যাম্পেইন খুঁজে বের করেছে আসাদুজ্জামানকে। অসামান্য অবদানের জন্য তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। সাভারের শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ও সিআরআই-এর চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয় আসাদুজ্জামানকে পুরস্কার তুলে দেন। খবর স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

পুরস্কার পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি নিজে রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। লেখাপড়ার ও পাঠাগারের খরচ চালাই। এ-পর্যন্ত ১৬টি গ্রামে আমি পাঠাগার স্থাপন করেছি। ভবিষ্যতে একটি ‘লাইব্রেরি ভিলেজ’ স্থাপন করারও পরিকল্পনা রয়েছে যেখানে প্রত্যেক গ্রামের ছেলেমেয়েই বিনামূল্যে বই পড়তে পারে।’

আসাদুজ্জামান এই মিলন স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। যুব সমাজকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় মোট ১৬টি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেছে; যার মধ্যে একটি শিশু পাঠাগার, চারটি রাস্তার পাশের পাঠাগার এবং তিনটি রেলস্টেশন পাঠাগার রয়েছে।

আসাদুজ্জামানসহ এদিন ছয়টি বিভাগে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে’ দেয়া হয়। এছাড়া, আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন – দেশের আইকনিক প্রকাশনা উন্মাদ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আহসান হাবীব এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ইয়াংগুয়াং ম্রো।

পুরস্কার বিজয়ী ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছেন – রোবোলাইফ টেকনোলজিস: জয় বড়ুয়া লাবলু, বিকে স্কুল অফ রিসার্চ: বিজন কুমার, বোসন বিজ্ঞান সংঘ: মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান, উচ্ছ্বাস: প্রসেনজিৎ কুমার সাহা, ইয়ুথ প্ল্যানেট: এ বি এম মাহমুদুল হাসান, বিজ্ঞানপ্রিয়: মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ, মজার ইশকুল: আরিয়ান, মিলন স্মৃতি পাঠাগার: আসাদুজ্জামান, সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন: মো. মুইনুল আহসান, বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠন: জান্নাতুল মাওয়া।

ছয় বছর আগে শুরু হওয়া জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের জন্য এবার ৬০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এর মধ্যে ৩০ প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়।পুরস্কার দেয়ার পর সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশপ্রেম, পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করতে পারে। নিজের মধ্যে যদি দেশপ্রেম আর স্বাধীনতার চেতনা না থাকে তাহলে দেশের ভালো কিভাবে করবে – সেই প্রশ্নও তিনি তুলে ধরেন।

যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বর্তমান বিশ্বে যে-সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশের তরুণরা সমাধান করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

Loading...