loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • সুন্দরবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে

  • জিরোনার কাছে বার্সার হার, চার ম্যাচ আগেই চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

  • দ্বিতীয় ম্যাচেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টাইগারদের সহজ জয়

  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকল কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ

  • হালানের চার গোলে সিটির বড় জয়, জিতেছে আর্সেনালও

ফ্রাইলিঙ্ক-জাদুতে ঢাকাকেও হারালো চিটাগাং


ফ্রাইলিঙ্ক-জাদুতে ঢাকাকেও হারালো চিটাগাং

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, মিরপুর, ২১ জানুয়ারি

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ঢাকা ডায়নামাইটস: ২০ ওভারে ১৩৯/৯ (রনি ০, নারিন ১৮, কুন ১৮, সাকিব ৩৪, ডারউইশ ০, সোহান ২৭, রাসেল ১, শুভাগত ২৮, নাঈম ৬, মোহর ০*, ফ্রাইলিঙ্ক ২/১৯, নাঈম ০/২৭, খালেদ ১/২৭, রাহী ২/২৭, মোসাদ্দেক ০/১১, ডেলপোর্ট ৩/২৫)
চিটাগাং ভাইকিংস: ১৯.৫ ওভারে ১৪৫/৭ (শাহজাদ ০, ডেলপোর্ট ৩০, ইয়াসির ১৫, মুশফিক ২২, শানাকা ২, মোসাদ্দেক, নাঈম ৪, ফ্রাইলিঙ্ক ২৫*, সানজামুল ২*; রাসেল ১/২৫, শুভাগত ০/১৬, সাকিব ৪/১৬, নারিন ০/২৬, রুবেল ১/২৪, মোহর ০/৩৭)

ফলাফল: চিটাগাং ভাইকিংস তিন উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দি ম্যাচ: রবি ফ্রাইলিঙ্ক (চিটাগাং ভাইকিংস)

যেন জাদু নিয়েই মাঠে নামেন চিটাগাং ভাইকিংসের অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিঙ্ক, প্রয়োজনে দলকে এনে দেন ব্রেকথ্রু। সোমবার (২১ জানুয়ারি) মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দলের ক্রান্তিলগ্নে তাঁর মারমুখী ব্যাটিংয়ের আরও একটি নিদর্শন দেখা গেলো। দলকে তিনি এনে দিয়েছেন রোমাঞ্চকর এক জয়। তিন উইকেটের এই জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ঢাকার সঙ্গে এখন যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে চিটাগাং।

শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফ্রাইলিঙ্ককে স্ট্রাইক দেন সানজামুল ইসলাম। পরের বলে দারুণ এক ছক্কা। তৃতীয় বলে পেলেন দুই রান। এরপর আবার ছক্কা। তখন সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ১ রান। কিন্তু ফ্রাইলিঙ্ক যে-তখন দারুণ ছন্দে! ছক্কা হাঁকিয়েই এক বল বাকী থাকতে দলের জয় তুলে আনেন তিনি।

অবশ্য ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি দলটির। ঢাকার মতো রানের খাতা খোলার আগে উইকেট হারায় তাঁরাও। শূন্য হাতেই মোহাম্মদ শাহজাদকে ফেরান আন্দ্রে রাসেল। ফলে শুরুতেই ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। তবে দ্বিতীয় উইকেটেই ইয়াসির আলিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। ৩২ রানের জুটিও গড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এরপরই ঘূর্ণি ছড়িয়ে দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সেট এই দুই ব্যাটসম্যানকে তো ফেরানই, ফিরিয়ে দেন আগের ম্যাচে ঝড় তোলা দাশুন শানাকাকেও। ফলে দলীয় ৬৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চিটাগাং। এরপর ছন্দের খোঁজে থাকা মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩২ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দলীয় ৯৫ রানে মুশফিকের বিদায়ে বিপদেই থাকে দলটি।

তবে এক প্রান্তে চিটাগাংয়ের আশা জিইয়ে টিকে ছিলেন মোসাদ্দেক। ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯তম ওভারে রানআউট হন তিনি। তখনও জয় থেকে ২১ রান দূরে চিটাগাং। বলা যায় পরাজয়ই দেখছিল দলটি; কিন্তু শেষে এসে সবকিছু বদলে দিলেন ফ্রাইলিঙ্ক। শেষ ওভারের তিন ছক্কায় তিন উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চিটাগাং।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দেক। ৩০ রান আসে ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে, ২২ রান করেন মুশফিক। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ফ্রাইলিঙ্কের ১০ বলে খেলা ২৫ রানের ইনিংসই ম্যাচের সেরা। ঢাকার পক্ষে দারুণ বোলিং করেছেন সাকিব। মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন চারটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করে উঠতে পারেনি ঢাকা। শুরুতেই চাপ সৃষ্টি করেন ফ্রাইলিঙ্ক, খালি হাতে ফেরান রনি তালুকদারকে। বিপজ্জনক সুনীল নারিনকেও ফেরান। এরপর নবম ওভারে দুই বিদেশি হেইনো কুন ও ডারইউশ রাসুলিকে এক ওভারেই বিদায় করেন আবু জায়েদ রাহী। ফলে বেশ বড় চাপেই পড়ে যায় ঢাকা।

৫৬ রানে চার উইকেট হারানো দলটির উদ্ধার-কাজ নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে শুরু করেন সাকিব। ৩৯ রানের জুটিও গড়েছিলেন। কিন্তু পার্টটাইম স্পিনার ডেলপোর্টই বদলে দেন চিত্র। ১৫তম ওভারে ফেরান এই দুই ব্যাটসম্যানকে। ফলে চাপ আরও বাড়ে দলটির।

অবশ্য শেষ দিকে শুভাগত হোম দারুণ খেলেছেন, ১৬ বলে ২৮ রানের ইনিংস তাঁর। তাতে ঢাকা পেয়ে যায় লড়াকু রান-সংখ্যা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৯ রান করে দলটি। সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে অধিনায়ক সাকিবের ব্যাট থেকে। এছাড়া ২৭ রানের ইনিংস খেলেন নুরুল হাসান সোহান।

চিটাগাংয়ের পক্ষে ২৫ রানের খরচায় তিনটি উইকেট নিয়ে দিনের সেরা বোলার ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন ফ্রাইলিঙ্ক ও আবু জায়েদ রাহী।

Loading...