loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে রোববার, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

রংপুরকে হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে বরিশাল


রংপুরকে হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে বরিশাল

সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ১৪৯-৭, ২০ ওভার (শামীম ৫৯*, নিশাম ২৮; ফুলার ৩-২৫)
ফরচুন বরিশাল: ১৫২-৪, ১৮.৩ ওভার (মুশফিক ৪৭*, মায়ার্স ২৮; আবু হায়দার ২-৩৭)
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল ছয় উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: মুশফিকুর রহিম (ফরচুন বরিশাল)

তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্সসে বিদায় করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দশম আসরের ফাইনালে উঠলো। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল ছয় উইকেটে পরাজিত করেছে রংপুরকে। বরিশাল ২০২২ সালের পরে দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল ফাইনালে উঠলো। এর আগে, ২০১২ সালে বরিশাল বার্নার্স ও ২০১৫ সালে বরিশাল বুল্স নামের দল দু’টি ফাইনালে উঠেছিল। ফরচুন বরিশাল আগামী ১ মার্চ ফাইনালে একই মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে।

১৫০ রানের লক্ষ্যটা যে মোটেও চ্যালেঞ্জিং ছিল না সেটা পরিষ্কার হতে সময় লাগেনি। ৬ উইকেট ও ৯ বল হাতে রেখে রংপুরের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। বিপিএল-এর দশম আসরে এটি তাঁদের চতুর্থ ফাইনাল। ফরচুনের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দ্বিতীয়। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে আগে ব্যাট করে শামীম পাটোয়ারীর ২৪ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পরও বড় লক্ষ্য গড়তে ব্যর্থ হয় রংপুর। 

ব্যাটারদের এনে দেওয়া পুঁজিতে লড়াই জমাতে পারেননি রংপুরের বোলাররা। ফাইনালে ওঠার দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। বরিশাল ম্যাচ জিতে আগামী ১ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে।

বরিশাল এদিন মিরপুরে টস জিতে রংপুরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায়। প্রথম ওভার ঠিকঠাক খেললেও দ্বিতীয় ওভার থেকে শুরু হয় রংপুরের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার পালা। ওপেনিংয়ে নামা শেখ মাহেদী ফেরেন দ্বিতীয় ওভার করা সাইফউদ্দিনের প্রথম বলে। একই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র এক রান। রনি তালুকদারও সুবিধা করতে পারেননি। ১২ বলে আট রান করে আউট হন তিনি। চারে নেমে কিছুক্ষণ লড়াই করেন জিমি নিশাম। গত ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলা এই ব্যাটার অবশ্য ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি।

নিকোলাস পুরান, মোহাম্মদ নবীও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। অধিনায়ক নুরুল হাসানও করতে পারেননি উল্লেখযোগ্য রান; ১৭ বলে ১৪ রান করে ফুলারের বলে বোল্ড হন তিনি। বাকি সময়টা একাই লড়ে যান শামীম। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি, যা বিপিএল-এ সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে দ্রুততম। তাঁকে সঙ্গ দিয়ে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন আবু হায়দার রনি। তিনি নয় বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ২৪ বলে পাঁচটি করে চার ও ছক্কায় ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন শামীম। 

৭২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে রংপুর।

বরিশাল লক্ষ্য তাড়ায় মেহেদী হাসান মিরাজ ও তামিম ইকবালের ব্যাটে শুরুটা দেখেশুনেই করেছে। রান যোগ হতে থাকলেও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে তামিমকে ফেরান আবু হায়দার রনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে মিরাজ লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন; তখন কিছুটা চাপে পড়ে বরিশাল।

অবশ্য, সেই চাপ বাড়তে দেননি সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। দু’জন মিলে পাওয়ার প্লে পার করার পর দলকে টেনে নিতে থাকেন। তবে দশম ওভারে নবীকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পড হন ২২ রান করা সৌম্য; ভাঙে ৪৭ রানের জুটি। সঙ্গী হারালেও কাইল মায়ার্সকে নিয়ে দলকে জয়ের পথেই রাখেন মুশি। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে মায়ার্স ১৫ বলে ২৮ করে ফিরলেও ৩৮ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন মুশফিক। তাঁর সঙ্গে ডেভিড মিলার ১৮ বলে ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

Loading...