loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে রোববার, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় মিষ্টি মেলা বুধবার শুরু


শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় মিষ্টি মেলা বুধবার শুরু

দেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় মিষ্টি মেলা শুরু হবে বুধবার (৬ মার্চ)। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনে এদিন সকাল ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন শিল্পী হাশেম খান। উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমেদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে পাঁচদিনব্যাপী এই মিষ্টি মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় থাকবে লোক-সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। খবর – স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের।

একাডেমি সূত্র জানায়, খাদ্য সংস্কৃতি হিসেবে দেশের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিগুলোকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভিন্নধর্মী এই আয়োজন। এতে দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৬৪ টিরও বেশি মিষ্টির বিপণি নিয়ে একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে বসবেন শিল্পীরা। অংশ নেবেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত মিষ্টি কারিগররা। 

বাঙালির জীবনে মিষ্টিমুখ ছাড়া কোনো শুভকাজ হয় না। মিষ্টির এই প্রচলন থেকেই দেশে এলাকাভেদে একেক অঞ্চলের মিষ্টির সুখ্যাতি রয়েছে। ঐতিহ্য হিসেবেও মিষ্টির ইতিহাস দুই থেকে আড়াইশ বছরের। বৈশাখের প্রথম দিনে হালখাতা থেকে শুরু করে ঈদ, পূজা পার্বণ, বিয়ে, আনন্দ উৎসবে মিষ্টি অন্যতম মাধ্যম – যা আমাদের খাদ্য-সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে। সে-কারণে সেই ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলার মিষ্টি জগৎজোড়া নাম লিখিয়েছে নান রকম মিষ্টি। ক্ষীরকদম, সন্দেশ, দই, গোলাপজামুন, কাঁচা ও পাকা দুই রকমের আম রসগোল্লা, মতিচুরের লাড্ডু, কেশর কালাকাধ, মালাই চমচম, সাতক্ষীরার সন্দেশ, নলেন গুড়ের সরপুরি, প্যাড়া, দ্বীপজেলা ভোলার মহিষের দুধের টক দই, চাঁদপুরের মতলবের বিখ্যাত ক্ষীর, চট্টগ্রামের সাদা মিষ্টি, মনসুর, আফলাতুন, কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, ঢাকার বাকরখানি, বুনদিয়া, স্পঞ্জ রসগোল্লা (নবাবগঞ্জ), বাতাসা, রাজবাড়ির চমচম, গোপালগঞ্জ রসগোল্লা, খুলনার সুন্দরবনের মধু, পুড়ের সন্দেশ, পুড়ের গজা, যশোরের খেজুরের গুড়, জামতলার মিষ্টি, পাটালী, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, মেহেরপুরের সাবিত্রি মিষ্টি, রসকদম, পাবনা ও নওগাঁর প্যারা সন্দেশ, নাটোরের কাঁচা গোল্লা, বগুড়ার দই, ময়মনসিংহের মন্ডা (মুক্তাগাছা), কৃষ্ণা কেবিনের মালাইকারিসহ হরেক রকমের মিষ্টি ও মিষ্টান্ন বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে যোগ হয়েছে। এগুলো শুধুমাত্র দেশেই নয় সুনাম ছড়িয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও।

ইতোমধ্যে দেশের জিআই পণ্য হিসেবে মিষ্টান্নের মধ্যে এরই মধ্যে নিবন্ধন পেয়েছে নাটরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দই, ‘টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম’ কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার রসমালাই,যশোরের খেজুর গুড়সহ নানা রকম মিষ্টান্ন।

Loading...