loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে রোববার, অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে

  • লিভারপুল হারলো এভারটনের কাছে, ম্যানইউ-এর শেফিল্ড-বাধা অতিক্রম

  • শুরু হলো স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিক্স প্রতিযোগিতা ২০২৪

  • জাভি এই মৌসুম শেষেই বার্সা ছাড়বেন না

  • নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টাইগারদের জয়


দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টাইগারদের জয়

সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলংকা: ২০ ওভারে ১৬৫-৫ (কামিন্দু ৩৭, কুশল ৩৬; তাসকিন ৩৮-১, মেহেদী ৩৯-১, মোস্তাফিজ ৪২-১, সৌম্য ৫-১)
বাংলাদেশ: ১৮.১ ওভারে ১৭০-২ (শান্ত ৫৩*, লিটন ৩৬, হৃদয় ৩২*; পাথিরানা ২৮-২)
ফলাফল: বাংলাদেশ আট উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: নাজমুল হোসেন শান্ত
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তীরে এসে তরি ডুবলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ালো বাংলাদেশ। বোলারদের সম্মিলিত পারফরম্যান্সে শ্রীলংকাকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখার পরে রান তাড়ায় দারুণ শুরু আনেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। পরে তা টেনে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। ১১ বল আগেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো টাইগাররা। ২০১৮ সালের পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারালো শ্রীলংকাকে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (৬ মার্চ) আগে বোলিং বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে শুরুর সুবিধা নেওয়ার কথা জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক। গত বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশের আটটি টি-টোয়েন্টি জয়ের পাঁচটিই এসেছে রান তাড়া করে। চলমান শ্রীলংকা সিরিজের প্রথম ম্যাচেও তাঁদের ২০৬ রান প্রায় টপকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। 

এদিন নিজেদের রান তাড়ার সামর্থ্যে আস্থা রেখে আরও একবার সেই লঙ্কানদেরই ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলাররা লঙ্কানদের পাঁচ উইকেটে ১৬৫ রানে আটকে দেওয়ার পরই মনে হচ্ছিল, বড় কিছুর উৎসব হতে পারে। রান তাড়ায় লিটন-সৌম্যর ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পর আর মনেই হয়নি – বাংলাদেশ ম্যাচটা হারতেও পারে। 

শান্ত ও তাওহিদ হৃদয় বাকি পথ পাড়ি দিয়েছেন ৮৭ রানের অপরাজিত জুটিতে। দুজনের সৌজন্যে ১১ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের স্কোরলাইনটা হয়ে গেল ১-১। ১৬৬ বা এর বেশি রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এনিয়ে তৃতীয় জয় বাংলাদেশের।

লঙ্কানদের এতটা স্বচ্ছন্দ ব্যাটিং করতে দেননি শরীফুল ইসলাম। আর যা-ই হোক, শরীফুলকে উইকেট দেওয়া যাবে না – নতুন বলের সামনে শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনারের ব্যাটিং দেখে তাই মনে হচ্ছিল। বিশেষ করে আভিস্কা ফার্নান্দো। তিনি স্ট্রাইকে থাকা অবস্থায় ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রানই আসেনি! প্রথম ওভারে মেডেন দেওয়া শরীফুল তিন স্পেলে নিজের চার ওভার করেছেন, তাতে কোনো উইকেট না পেলেও রান দিয়েছেন মাত্র ৫ ইকোনমি রেটে ২০, ডট বল ১৩টি।

শরীফুলের এমন বোলিং লঙ্কানদের তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ঝুঁকি নিতে বাধ্য করেছে। উইকেট এসেছে তাতেই। সাত বল খেলে কোনো রান না করেই তাসকিনের করা দ্বিতীয় ওভারে আড়াআড়ি শট খেলে ক্যাচ তুলেছেন ফার্নান্দো। তবে দারুণ গতি ও বাউন্সের উইকেটে জমে যান কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৪২ বলে দুজন মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। দুই মেন্ডিসের মধ্যে বেশি ভয়ংকর মনে হচ্ছিল দেড় শর বেশি স্ট্রাইক রেটে খেলা কুশলকেই।

মূল বোলারদের দিয়ে তাঁকে আউট করতে না-পেরে শান্ত বাধ্য হয়ে এক ওভারের জন্য বোলিংয়ে আনেন সৌম্য সরকারকে। কি ভাগ্য! সে ওভারেই কট বিহাইন্ড কুশল (২২ বলে ৩৬, স্ট্রাইক রেট ১৬৩)! এক মেন্ডিসের বিদায়ের পর স্থায়ী হয়নি আরেক মেন্ডিসের ইনিংসও। রিশাদের ওভারে সামারাবিক্রমার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে কামিন্দু রান আউট হন ২৭ বলে ৩৭ রান করে। ভালো শুরুর পর আউট হওয়ার ধারা থেকে বের হতে পারেননি অধিনায়ক আসালাঙ্কাও (১৪ বলে ২৮)।

লঙ্কান রানটাকে পরে দেড় শর ওপরে নিয়েছেন দুই অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দাসুন শানাকা। শেষের দিকে দুজনের যুগলবন্দীতে এসেছে ৩৭ বলে ৫৩ রান। ম্যাথুসেরই অবদান ২১ বলে ৩১। শানাকা খেলেছেন মন্থরগতিতে, তাঁর ২০ রান আসে ১৮ বলে। 

একটি করে উইকেট নেওয়া তাসকিন ও মোস্তাফিজ প্রতি ওভারে নয়-এর বেশি রান দিলেও শেষ তিন ওভারে লঙ্কান দুই অভিজ্ঞ ফিনিশারকে লাগামের বাইরে যেতে দেননি। সিরিজের প্রথম ম্যাচের বোলিংয়ের সঙ্গে এদিনের বোলিংয়ের পার্থক্যটা এখানেই। তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ।

বাংলাদেশ একাদশ
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, সৌম্য সরকার, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম

শ্রীলংকা একাদশ
আভিশকা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদেরা সামারাবিক্রমা, চারিথা আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস,দাসুন শানাকা, মাহেশ থিকসেনা, দিলশান মাধুশঙ্কা, বিনুরা ফার্নেন্দো, মাথিশা পাথিরা

Loading...