প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারীদল। দুই দল তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এই সিরিজটি আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। টাইগ্রেসরা এদিন ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে। মিরপুরে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ম্যাচ। বিসিবি’র ইউটিউব চ্যানেল ও টি স্পোর্টসে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া নারী দলের সিরিজ নিয়ে বেশ আগ্রহ রয়েছে। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া বলেই এই সিরিজ নিয়ে এত আলোচনা। দলটা সাতবারের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ছয়বার। দুই সংস্করণেই তাঁরা বর্তমানে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের দেখা হয়েছে মাত্র তিনবার। ওয়ানডেতে দুই দল একবারই মুখোমুখি হয়েছে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপে। বাকি দুইবার – ২০২০ ও ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তাই এটিকে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় সিরিজই বলা যায়। অবশ্য বাংলাদেশের দলের সৌভাগ্য – দল হিসেবে তাঁরা যখন সেরা ছন্দে, তখনই বিশ্বসেরাদের পাচ্ছে নিজেদের আঙিনায়।
বাংলাদেশ গত বছর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছিল; পাকিস্তানকে হারিয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে। বছর শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো জিতেছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারাতে দলপতি নিগার সুলতানা জ্যোতির প্রথম অস্ত্র ঘরের মাঠের সুবিধা, ‘প্রথমত, হোম কন্ডিশন। আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া কখনোই যেহেতু খেলেনি এখানে, এখানকার কন্ডিশন তাঁদের জন্য অনেক বেশি অচেনা হবে’, বলেছেন তিনি। অন্যদিকে, ঘরের মাঠ বরাবরই বাংলাদেশের বড় শক্তি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও সেটি ধরে রাখতে চান জ্যোতি, ‘এই মাঠ বা যেকোনো জায়গায়ই হোক, আমাদের বোলাররা অনেক বড় বড় ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভালো পারফর্ম করেছে। সেদিক থেকে আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী।’
বিশ্বকাপের কথা মাথায় রাখলে সিরিজটা বাংলাদেশ নারী দলের জন্যও বড় প্রস্তুতির সুযোগ। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়তে পারলে সেটা টাইগ্রেসদের বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে।
বাংলাদেশ দল
মুর্শিদা খাতুন, শোভনা মোস্তারি, ফারজানা হক পিংকি, নিগার সুলতানা জ্যােতি (অধিনায়ক), রিতু মনি, ঝর্ণা আক্তার, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার ও সুলতানা খাতুন।
অস্ট্রেলিয়া দল
অ্যালিসা হিলি (অধিনায়ক), ফোবি লিচফিল্ড, এলিস পেরি, বেথ মুনি, তাহলিয়া ম্যাকগ্রা, অ্যাশলে গার্ডনার, অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড, জর্জিয়া ওয়ারহাম, অ্যালানা কিং, কিম গার্থ ও মেগান শুট।