loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • তাপপ্রবাহ: ২ মে পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা

  • বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম নয়: এডিবি আবাসিক প্রধান

  • কাচারিপাড়ায় নাসরিন স্পোর্টসের ১৯ গোল

  • লেভার হ্যাটট্রিকে ১০ জনের ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে বার্সার জয়

  • মোনাকোর পরাজয়ে পিএসজি লিগ চ্যাম্পিয়ন

বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি


বার্সাকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে পিএসজি

ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে নিষ্প্রভ এমবাপে যে বার্সেলোনার মাঠে জ্বলে উঠতেই পারেন – সেই শঙ্কা বার্সা সমর্থকদের মনে আগে থেকেই ছিল। এর আগেও বার্সার মাঠে এসে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। তিনি মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) করলেন দুই গোল। দ্বিতীয়ার্ধে এমবাপের দুই গোলের আগে উসমান ডেম্বেলে ও ভিতিনিয়াও বার্সার জাল কাঁপিয়েছেন। ফলে, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) রাফিনিয়ার গোলে ক্যাটালান ক্লাবটির বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ৪-১ ব্যবধানে জয় পেলো। লুইস এনরিকের দল এই জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে উঠলো। পক্ষান্তরে, বিদায় নিতে হলো জাভি হার্নান্দেজের বার্সাকে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পিএসজি প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ফুটবলপ্রেমীরা অনেক দিন মনে রাখবেন মাঠের উত্তেজনা আর বিতর্কিত রেফারিংয়ের কারণে। ম্যাচটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন ইস্তভান কোভাকস। রোমানিয়ার এই রেফারি দুই দল মিলিয়ে ১২টি কার্ড দেখিয়েছেন, যার মধ্যে লালকার্ড তিনটি। লালকার্ড থেকে রেহাই পাননি বার্সার প্রধান কোচ জাভি, এমনকি গোলকিপার কোচ হোসে রামোন দে লা ফুয়েন্তেও।

প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) রোমাঞ্চে ভরপুর, উত্তেজনা ও নাটকীয়তায় ঠাসা এক ম্যাচ জিতে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠলো। এক গোলে পিছিয়ে থেকে ফিরতি লেগ শুরু করা প্যারিসের ক্লাবটি মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্সেলোনার মাঠেও শুরুতে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে। তবে এর পরের গল্প শুধুই পিএসজির। প্রথমার্ধেই স্বাগতিকরা দশ জনের দলে পরিণত হলে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একে একে চার গোল করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে লুই এনরিকের দল। ফিরতি লেগ ৪-১ গোলে জেতায় দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজির জয় ৬-৪ ব্যবধানে।

পিএসজি প্রতিপক্ষের মাঠে পিছিয়ে থেকে খেলতে নেমে শুরুতেই ছিল আক্রমণাত্নক। বার্সার রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণে চাপ বাড়াতে থাকে। কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিং করতে পারছিলেন না এমবাপে-দেম্বেলেরা। অবশ্য বার্সেলোনা রক্ষণ সামলে দ্বাদশ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে গিয়েই বাজিমাত করে। লামিন ইয়ামাল বল নিয়ে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করলে সেই বল দারুণভাবে জালে পাঠিয়ে দেন রাফিনিয়া।

পিছিয়ে পড়া পিএসজি হন্যে হয়ে গোলের খোঁজ করতে থাকে। দলের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপের পর পর দুটি প্রচেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। 

২৯ মিনিটে বার্সায় অস্বস্তি নিয়ে আসে রোনালদ আরোহোর লালকার্ড। পিএসজি’র ফরোয়ার্ড বারকোলো বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করছিলেন, তাঁকে পেছন থেকে টেনে ফেলে দেন আরোহো। সরাসরি লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই ডিফেন্ডার। ফলে, বার্সো দশজনের দলে পরিণত হয়।

একটু পরেই লামিন ইয়ামালকে তুলে সেন্টার ব্যাক ইনিয়াগো মার্টিনেজকে নামান জাভি; আক্রমণে শক্তি কমে যায় ক্যাটালান ক্লাবটির। ওদিকে আক্রমণে চাপ অব্যাহত রেখে ৪০ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় পিএসজি। বারকোলোর ক্রস গোলমুখে এমবাপে পা ছোয়াতে না-পারলেও অন্য প্রান্তে উসমান ডেম্বেলের শট জড়িয়ে যায় জালে; পিএসজি’র ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জোরালো হয়। 

পিএসজি বিরতি থেকে ফিরে ফিরতি লেগে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচে সমতাও ফেরায়। বক্সের বাইরে থেকে ভিতিনিয়ার দূরপাল্লার শট টের স্টেগানকে পরাস্ত করে জড়িয়ে যায় জালে। 

একটু পরেই বার্সা-শিবিরে আরও বড় ধাক্কা আসে কোচ জাভি লালকার্ড দেখে ডাগআউট ছাড়লে। রেফারির একটি সিদ্ধান্ত মানতে না-পেরে টাচলাইনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বোর্ডে লাথি মারেন জাভি; রেফারি সঙ্গে-সঙ্গে লালকার্ড দেখান।

বার্সা একটু পর ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ে। এমবাপে পেনাল্টি থেকে গোল করে পিএসজিকে সেমির পথে এগিয়ে নেন। বক্সের ভেতর হোয়াও ক্যান্সেলো দেম্বেলেকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পিএসজি; স্পট কিকে ভুল করেননি এমবাপে। 

পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায় বার্সা কিন্তু পায়নি কাঙ্ক্ষিত গোল। বরং  এমবাপে শেষ দিকে (৮৯ মিনিটে) বার্সেলোনার জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। পিএসজি পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে।

Loading...