ইন্টার মিলান পুরুষ ফুটবল দল টানা তিন বছর ইতালিয়ান সুপার কাপ, বা সুপার কোপার শিরোপা জিতে ট্রফিটাকে প্রায় নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল। দলটি তাঁদের সাম্প্রতিক নৈপুণ্য ও সামর্থ্যের দিক থেকে সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে মিলান ডার্বি’র ফাইনালেও ছিল ফেবারিট। যাহোক, এদিন দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও সুপারকোপার টানা চতুর্থ শিরোপা জেতা হয়নি তাঁদের।
এদিন সৌদি আরবের রিয়াদে ম্যাচটি ৫১ মিনিট পর্যন্ত শক্তি-তারতম্য অনুযায়ীই চলছিল। এসি মিলান প্রথমার্ধের একেবারে শেষে লাউতারো মার্টিনেজ ও মেহদি তারেমির করা দুই গোলে পিছিয়ে গেলো। ইন্টারের টানা চতুর্থ সুপার কাপ শিরোপা জয় তখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে দৃশ্যপট বদলাতে শুরু করে। মিলানের থিও এর্নান্দেজ ৫২ মিনিটে এক গোল শোধ করেন। এরপরও ম্যাচ ইন্টারের হাতেই ছিল। কিন্তু ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ ৮০ মিনিটে সমতাসূচক গোল করলে ইন্টারের মনোবল ভেঙে পড়ে। পক্ষান্তরে, সেই গোল মিলানের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। এরপর যোগ করা সময়ে ট্যামি আব্রাহামের গোলে আট বছর পরে মিলানের সুপারকোপা জয় নিশ্চিত হয়।
দুর্দান্ত এই জয়ে এসি মিলানের হয়ে নিজের কোচিং অধ্যায়টাও দারুণভাবে শুরু করলেন সের্জিও কনসেইসাও। তিনি মাত্র দুই ম্যাচ ডাগআউটে দাঁড়িয়েই শিরোপা পেলেন। কনসেইসাও গত ডিসেম্বরে পাওলো ফনসেকার স্থলভিষিক্ত হন। মিলান এর আগে তাঁর অধীনে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইউভেন্টাসকে ২-১ গোলে পরাজিত করেছিল।
কনসেইসাও বলেছেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত; কারণ, কাজটা সহজ ছিল-না। আমি যখন এসেছিলাম, এখানকার পরিবেশ সেরা অবস্থায় ছিল-না। এই দুই ম্যাচের আগে কাজ করার তেমন কোনো সুযোগও ছিল-না। আমরা দু’টি শীর্ষ দলের বিপক্ষে খেলেছি। এখন আমরা দারুণ আনন্দিত। আজ উদ্যাপন করবো এবং কাল থেকে আমরা কালিয়ারির (সিরি ‘আ’তে মিলানের পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ) বিপক্ষে ম্যাচের দিকে মনোযোগ দেবো।’
অন্যদিকে, ইন্টারের মার্তিনেজ দলের এমন পরাজয়ে নিজেদের দোষই বড় করে দেখছেন। এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘এদিন প্রথমার্ধ ছিল ইতিবাচক, আমরা ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এরপরই যেন ইন্টার খেলা থামিয়ে দিলো। পরে আমরা একই গতি ও ছন্দ ধরে রেখে খেলতে পারিনি; এমন ম্যাচে যার মূল্য আপনাকে দিতেই হবে।’