সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১৮.২ ওভারে ১২৫ (আরিফুল ৩৬, মানসি ২৮, জাকির ২৫; রিশাদ ৩-১৫, জাহানদাদ ৩-১৮, ফাহিম ২-২৩)
ফরচুন বরিশাল: ১০.৩ ওভারে ১২৬-৩ (মায়ার্স ৫৯*, হৃদয় ৪৮; তানজিম ২-৩৭, কর্নওয়াল ১-১৬)
ফলাফল: ফরচুন বরিশাল সাত উইকেটে জয়ী
ম্যাচ-সেরা: জাহানদাদ খান (ফরচুন বরিশাল)
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মঙ্গলবারের (৭ জানুয়ারি) প্রথম ম্যাচে ১১১ রানে অলআউট হওয়া ঢাকা ক্যাপিটালসকে রংপুর রাইডার্স ১৩.২ ওভার খেলেই সাত উইকেটে পরাজিত করেছে। সন্ধ্যার ম্যাচে ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৮.২ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। বরিশাল সাত উইকেটে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে ৫৭ বল হাতে রেখেই।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফরচুন বরিশালের বোলাররাই কাজ সেরে রেখেছিলেন। জাহানদাদ খান-রিশাদ হোসেনরা স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১২৫ রানে আটকে ফেলেন। ফলে, জয়ের জন্য ফরচুন বরিশালের লক্ষ্য ১২৬ রান করতে দলটির ব্যাটারদেরকে মাত্র ১০.৩ ওভার খরচ করতে হয়েছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি তাওহিদ হৃদয় ও কাইল মায়ার্সের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সাত উইকেটে ম্যাচ জেতে।
তামিম ইকবালের দল এই জয়ে চার ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এলো। পক্ষান্তরে, সিলেট টানা তিন পরাজয়ে তলানিতে নেমে গেলো। দলটি টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে প্রতিটিতেই পরাজিত হলো; যার শেষ দু’টিই ঘরের মাঠে।
এদিন ফরচুন বরিশাল টস জিতে স্বাগতিক দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। সিলেট রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার রনি তালুকদারের (০) উইকেট হারায়। তবে অন্য ওপেনার রাকিম কর্নওয়াল (১৮), জাকির হাসান (২৫) এবং জর্জ মানসিদের (২৮) ব্যাটে শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি। তাঁরা সাত ওভারে দুই উইকেটে ৭০ রান করেন।
ধস শুরু হয় নবম ওভারে। জাহানদাদ খান এক বলের ব্যবধানে মানসি ও অ্যারন জোনসকে সাজঘরের পথ চেনান। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার এই দশা আর থামেনি। দুই উইকেটে ৭৬ থেকে মুহূর্তেই আট উইকেটে ৮৯ রানে পরিণত হয় দলটি। মাঝে আরিফুল ২৯ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৩৬ রান করে সিলেটকে একশ পার হতে সহায়তা করেন।
বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন পাকিস্তানি পেসার জাহানদাদ ও বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন।