loader image for Bangladeshinfo

শিরোনাম

  • আর্জেন্টিনাকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো মেনোত্তি আর নেই

  • লেভাকুজেন ৫৯ বছর পুরোনো রেকর্ড স্পর্শ করলো

  • বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতের কাছে টাইগ্রেসদের ৫৬ রানের পরাজয়

  • নওগাঁর পতিসরে রবীন্দ্রজন্মোৎসব

  • প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ বুধবার

ই-ক্যাব এর মাধ্যমে অনলাইনে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন


ই-ক্যাব এর মাধ্যমে অনলাইনে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন

অনলাইনে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম ‘‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’’ উদ্বোধন করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। পেয়াজের দামবৃদ্ধি ঠেকাতে এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের অনলাইনে পেয়াজ পেতে এই কর্মসূচী গ্রহণ করেছে সরকার। সীমিত ও নির্বাচিত কিছু অনলাইন শপের মাধ্যমে পেয়াজ কিনতে পারবে জনসাধারণ।

আপাতত ৩৬ টাকা প্রতিকেজি পেয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। তবে, আপাতত এই সীমা তিন কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি অর্ডারের ডেলিভারি মূল্য ঠিক করে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা। আজ দুপুরে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মন্ত্রী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুগ্মসচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ক্রেতা সাধারণকে অনুরোধ করবো, আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে অনলাইনে নির্ধারিত পরিমাণ পেঁয়াজ কিনুন। একটি পরিবারের জন্য এক সপ্তাহে কত কেজি পেঁয়াজ লাগে – সেভাবে সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আপনারা এই সীমা মেনে চলুন। কোথাও কোনো অনিয়ম দেখা দিলে ই-ক্যাব বা এখানে যে -সমন্বয় কমিটি করা হয়েছে – তাঁদেরকে জানান। তাঁরা দ্রুত সমাধান করবে।

বিশেষ অতিথি ডব্লিওটিও সেল-এর মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের সাথে প্রাইভেট সেক্টরের সহযোগিতার ভিত্তিতে কল্যাণের একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে ‘‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’’ নামে এই উদ্যোগ। এর আগেও আমরা এসব উদ্যোগে সফল পেয়েছি। সরকারের একটি কল্যাণমূলক সেবা – টিসিবি’র পণ্য। এটা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার জন্য ই-ক্যাব এর সাথে মিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘‘ঘরে বসে স্বস্তির পেয়াজ’’ কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে।

টিসিবি’র চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান বলেন, টিসিবি সাধারণত ট্রাকসেল-এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষদের নিত্যপণ্য সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু অনলাইন শপগুলো থেকে পেঁয়াজ বিক্রয়ের মাধ্যমে যেসব ক্রেতা হয়তো লাইন ধরে পণ্য কেনেন না – তাঁদের জন্য সুযোগ তৈরী হলো। সরকারের এই সেবা অনলাইনে বিস্তৃতির মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে সংযুক্ত করবে।

অতিরিক্ত সচিব, আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ, হাফিজুর রহমান বলেন, আজ পেঁয়াজ দিয়ে শুরু হলো, আগামীতে অনলাইন থেকে ক্রেতারা টিসিবির অন্যান্য পণ্য হয়তো পাবেন। আপাতত পাইলট হিসেবে এই কার্যক্রম শুরু করলেও, সঠিকভাবে পরিচালিত হলে, ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওবায়দুল আজম বলেন, অনলাইনে আমমেলার মাধ্যমে যে-যাত্রা শুরু হয়েছে – তার সুফল আমরা আজ পেঁয়াজের মাধ্যমে পাচ্ছি। জনগণের পাশে থাকতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা সবসময় নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। আমাদের টিমকমার্স সদা জাগ্রত থেকে মানুষের সেবা করে যাবে। ভবিষ্যতে অনলাইনে নিত্যপণ্যের সেবা পরিধি আরও বাড়বে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব উদ্যোগের পাশে থেকে তা ত্বরান্বিত করবে।

ই-ক্যাব এর প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, আজ আমরা মধ্যবিত্তদের জন্য সরকারের সহযোগিতায় অনলাইনে পেয়াজ নিয়ে এসেছি। যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করবে, তাঁরা প্রত্যেকে আমাদের বলেছে যে – তাঁরা নিয়ম মেনে চলবে। যে-বিধিমালা দেয়া হয়েছে – তা অনুসরণ করবে; এবং ব্যবসার চেয়ে মানুষের সেবাকে গুরুত্ব দেবে।

চালডালের ডিরেক্টর ইশরাত নাবিলা বলেন, সরকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরা সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে তড়িৎ সাড়া সেবা দিচ্ছে – তা এই কার্যক্রমের সাথে জড়িত না থাকলে জানতে পারতাম না। আমাদের সরকারি অনেক ব্যবস্থা ক্রমশ উদার হচ্ছে – টিসিবি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এর প্রমাণ।

আপাতত আটটি অনলাইন প্রতিষ্ঠান ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনলাইনে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবে। আজ প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত টিসিবির অনলাইন ডিলারশিপ পেতে যাচ্ছে যে-পাঁচ প্রতিষ্ঠান, সেগুলো হলো হলো – চালডাল, স্বপ্ন অনলাইন, সিন্দাবাদ ডট কম, সবজিবাজার ডট কম ও বিডিসোল কম। 

এছাড়া, আগামীকাল সোমবার থেকে যাচাই ডটকম, একশপ ও অন্য একটি প্রতিষ্ঠান এই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হতে পারে। এছাড়া উইন্ডি নামে নারী উদ্যোক্তাদের একটি কমন ফ্লাটফর্ম থেকেও টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। চাহিদা ও যোগানোর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরও বাড়বে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আপাতত দৈনিক আধাটন করে পেঁয়াজ পাবে এবং তিনদিন পরপর টিসিবি থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবে।

অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ হাজার টন পেয়াজ বিক্রির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। প্রতিষ্ঠানগুলোর গুদামঘর, ডেলিভারি ক্যাপাসিটি, ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ই-ক্যাব এর সুপারিশ বিবেচনায় টিসিবি’র ডিলারশিপ দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া, পুরো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, টিসিবি ও ই-ক্যাব একটি অভিন্ন বিধিমালা বা এসওপি প্রণয়ন করেছে – যা মেনে চলতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকবে। এই পেঁয়াজ অনলাইন ছাড়া অন্যকোনো মাধ্যমে বিক্রয় করা যাবে না।

– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

Loading...